দক্ষিণবঙ্গ

জেলে বসেই হামলার চক্রান্ত এবিটির জঙ্গির

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বসেই চলেছিল আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) সংগঠন তৈরির কাজ। আর সেই কাজটি করেছিল খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারিকুল ইসলাম ওরফে সাজিদ সুমন। এমনকী, হামলার ব্লুপ্রিন্ট তৈরিরও পরিকল্পনা জেলে বসেই করেছিল তারিকুল। এমনটাই গোয়েন্দা সূত্রে খবর।  
সাজিদ বা তারিকুল আসলে কুখ্যাত জেএমবি জঙ্গি। হরিহরপাড়া থেকে ধৃত জঙ্গি আব্বাস আলির মগজ ধোলাইও করেছিল সে।  খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে ২০১৫ সালে এএনআইএ তাকে গ্রেপ্তার করে। বিচারপর্ব শেষে তার দশ বছরের সাজা হয়। বহরমপুর জেলে সাজার মেয়াদ চলাকালীন রাজ্যজুড়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন এবিটিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করে সাজিদ। নওদা থেকে মোস্তাকিম শেখ ও সাজিবুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে বেঙ্গল এসটিএফ। তাদেরকে জেরা করে তারিকুলের নাম জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তাই জেলবন্দি তারিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেঙ্গল এসটিএফ সোমবার বহরমপুর আদালতে হেফাজতের জন্য আবেদন করে। বহরমপুর আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তারিকুলকে সাতদিনের হেফাজতে পেয়েছে এসটিএফ। 
এসপিএফ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘তারিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমারা হেফাজতে নিয়েছি।’ আদালতের সরকারি আইনজীবী বিশ্বপতি সরকার বলেন, ‘বেঙ্গল এসটিএফ নওদা থেকে যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে, সেই মামলার সঙ্গে তারিকুলের যোগসূত্র রয়েছে। সেই কারণেই তারিকুলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এসটিএফ।’ 
জানা গিয়েছে, তারিকুল ওরফে সাজিদ জেলে বসেই নির্দেশ দিত এবিটি জঙ্গি মিনারুল শেখ ও আব্বাস আলিদের। ২০১৭ সাল নাগাদ নাবালিকা অপহরণের জেরে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিল আব্বাস। সেসময় তারিকুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বন্দি তারিকুলের সঙ্গে জেলে এসে মাঝেমধ্যেই দেখা করত আব্বাস। তারিকুলের সঙ্গেও মাঝে মধ্যে জেলে দেখা করতে আসত মিনারুল। তাদের মাধ্যমেই গোটা রাজ্যে এবিটি সংগঠনের হাল হকিকতের খবর পেত তারিকুল। আব্বাস জেরায় তদন্তকারীদের জানিয়েছে, তারিকুলের সঙ্গে বিভিন্ন জেলে বন্দি জেএমবি ক্যাডারদের যোগাযোগ রয়েছে। 
জানা গিয়েছে, খাগড়াগড় কাণ্ডে তারিকুলকে ২০১৫ সালে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। ২০১৯ সালে সে নিজেই দোষ স্বীকার করে সাজা মাথা পেতে নেয়। চলতি বছরের মাঝামাঝি সাজা শেষ করে বাইরে এলেই সে বাংলাদেশে পাড়ি দিত। সেসময় তারিকুলকে এবিটি সংগঠনের ‘সুরা’র দায়িত্ব দেওয়া  হবে বলে ঠিক করে ফেলা হয়। বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে তারিকুলকে বিভিন্ন জেলে গিয়ে জেএমবি জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করার দায়িত্ব দেওয়া হবে। এতদিন জেলে থাকাকালীন বহু আসামির মগজ ধোলাই করেছে সে। এবিটির শীর্ষ জঙ্গি নেতাদের ইচ্ছা, জঙ্গি ক্যাডারদের বের করার জন্য তারিকুল কাজ করবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন জেলে থাকা আসামিদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে মামলা দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করানো হবে। তাদেরকে জেল থেকে ছাড়িয়ে এবিটি সংগঠনকে আরও মজবুত করার পরিকল্পনা ছিল। পাশাপশি জেলের মধ্যে সমান্তরাল সংগঠন তৈরি করা যায়, সেটাও লক্ষ্য  ছিল জেএমবির শীর্ষ নেতাদের। আব্বাসকে জেরা করে এই তথ্য উঠে আসার পরই তারিকুলকে হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে অসম এসটিএফও। কিন্তু সোমবার বহরমপুর আদালতে তারা আবেদন করার আগেই বেঙ্গল এসটিএফ তারিকুলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। 
আদালত থেকে বেরোনোর সময় তারিকুল জানিয়েছে, আব্বাস এবং মিনারুল কাউকেই চিনি না। ওদের সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। চলতি বছরে আমার সাজা শেষ হওয়ার কথা। তার আগে কেন আবার আমাকে নিয়ে টানাটানি হচ্ছে, আমি জানি না।
1d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও ঘরে বাইরে বাধা থাকবে। কারও প্ররোচনায় যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্ক হন। ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৯৭ টাকা৮৬.৭১ টাকা
পাউন্ড১০৫.৭০ টাকা১০৯.৪৩ টাকা
ইউরো৮৭.৫৩ টাকা৯০.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা