ঢাকা: ছাত্র লিগ নিষিদ্ধ হয়েছে। এবার কি নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে আসবে আওয়ামি লিগের উপরে? সেই আশঙ্কা ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে পদ্মাপারে। শেখ হাসিনার দলকে নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে সেদেশের হাইকোর্টে। আর তা ঘিরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে রাজনীতির অন্দরে। যদিও আবেদনকারীরা জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ করা নয়, মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত আওয়ামি লিগের যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের আবেদন করা হয়েছে। সরকারও জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ছাত্র লিগ ছাড়া অন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়নি। ছাত্র আন্দোলনের চাপে আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে নতুন ইতিহাস লেখার উদ্যোগ শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। মুছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান ও আওয়ামি লিগের নাম। তারই যেন একটি নমুনা দেখা গেল সোমবার। শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগ সহ মোট ১১টি দলকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে দু’টি রিট পিটিশন দাখিল হয়েছে। আওয়ামি লিগ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলছে জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), গণতন্ত্রী পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ-এর মতো লিগের ‘বন্ধু মনোভাবাপন্ন’ দলের উপরে। খুন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস এবং অসাংবিধানিকভাবে বেআইনি উপয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার অভিযোগ আনা হয়েছে এই ১১ দলের বিরুদ্ধে। ফলে ভবিষ্যতে কোনও নির্বাচনে আওয়ামি লিগ সহ বাকি ১০ রাজনৈতিক দল যাতে অংশ না নিতে পারে, সেই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিন আবেদনকরী। মামলায় অংশ করা হয়েছে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নির্বাচন কমিশন এবং আইজিকে।