পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এক আলোচনাসভায় ডাকবিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল ( মেল অ্যান্ড
বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেল) অনিল কুমার বলেন, ব্যবসায়ী বা শিল্পীর হয়ে আমরা রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় আইডি, জিএসটি রেজিস্ট্রেশন, কাস্টমসের প্রয়োজনীয় নথি তৈরি প্রভৃতি কাজ করে দিচ্ছি। এর জন্য কর্মীদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পণ্য রপ্তানির জন্য জেলায় জেলায় যে দালাল চক্র সক্রিয়, তাদের খপ্পর থেকে এবার রেহাই পাবে ছোট সংস্থাগুলি। আমাদের উদ্যোগে তারা যেমন পণ্যের ভালো দাম পাবে, তেমনই কোনও ঝঞ্ঝাট ছাড়াই সমস্ত কাজ হয়ে যাবে ডাকবিভাগের মাধ্যমে। পণ্যের অনলাইন বুকিং থেকে শুরু করে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স—সবই করবে পোস্ট অফিস।
অনিল কুমারের দাবি, ৩৮টি পোস্ট অফিস থেকে গড়ে ১০০টি সংস্থা বা শিল্পী পণ্য রপ্তানি করছে। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, কানাডা, জাপান, ইউকেতে পৌঁছেছে সেসব পণ্য। কলকাতা বা জলপাইগুড়ির মতো পোস্ট অফিসগুলি থেকে দিনে ১০০ থেকে ১৫০টি করে পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনিল কুমার। তাঁর হিসেব, গত অর্থবর্ষে পণ্য বিদেশে পাঠিয়ে মাসে গড়ে ১১ কোটি টাকা আয় হয়। চলতি অর্থবর্ষে মাসিক গড় আয়ের অঙ্ক ১৮ কোটি টাকা।
অনিল কুমার জানান, তাঁরা ডাকঘরের ফ্রাঞ্চাইজি ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে দিতে পারছেন। কলকাতা সার্কেলে তাঁরা ২৮টি পার্সেল ফাঞ্চাইজি ও ৪০টি স্পিড পোস্ট ফ্রাঞ্চাইজির অনুমতি দিয়েছেন। শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক স্তরে পণ্য পাঠানোর জন্য রয়েছে তিনটি ফ্রাঞ্চাইজি। সাধারণ মানুষ যদি এই ধরনের ফ্রাঞ্চাইজি নেন, তাহলে তাঁরা ৫ থেকে ৩২ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন বাবদ আয় করতে পারবেন। শুধুমাত্র ফ্রাঞ্চাইজি ব্যবস্থার মাধ্যমে বছরে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার ব্যবসা আসছে ডাকবিভাগে। প্রসঙ্গত, গত অর্থবর্ষে স্পিড পোস্ট ও পার্সেল ব্যবসা থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আয় হয়েছিল রাজ্যে। চলতি অর্থবর্ষে ৫০০ কোটি টাকা ব্যবসার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনিল কুমার।