একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
রবিবার বিকেলে খড়্গপুর গ্রামীণের গোকুলপুরে জনসভা করে বিজেপি। প্রধান বক্তা ছিলেন দিলীপ ঘোষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তাপস মাইতি, সহ সভাপতি অরূপ দাস প্রমুখ। সেই সভায় ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যে দিলীপ ঘোষকে ছাপিয়ে গেলেন অরূপবাবু। তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি বলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর আমাদের কার্যকর্তা, মায়েদের উপর যে অত্যাচার হয়েছিল, ভুলে যাইনি। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়া হবে। তাঁর সংযোজন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিস দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ লুট করেছ। লোকসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষ দাঁড়াবেন। তাঁর বুথ লুট করতে এলে পুলিস থেকে শুরু করে তৃণমূল, মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়া হবে। এরপরেই হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, লোকসভায় ৭৫ হাজার বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। যারা বুথ লুট করতে আসবে সরাসরি বুকে গুলি করে শ্মশানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
একুশের বিধানসভায় ভোটগ্রহণ চলাকালীন কোচবিহারের শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তাতে চারজন নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজ্যজুড়ে। সেই স্মৃতি এখনও টাটকা রাজ্যবাসীর মনে। এদিন বিজেপি নেতার মন্তব্যে ফের সেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি লোকসভাতেও একইভাবে মানুষ মারার প্ল্যান করছে বিজেপি? এনিয়ে তৃণামূলে জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিজেদের দলীয় অস্ত্র হিসেবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। তারই ফলস্বরূপ শীতলকুচি। কিন্তু তাতেও বিধানসভায় জিততে না পেরে লোকসভায় একই পরিকল্পনা করছে।
অরূপ দাস হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা পুলিসকেও। তিনি বলেন, ‘উর্দি খুলে দৌড় জানেন তো? উর্দি খুলে দৌড় করাব। জেলার পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, উনি আমাকে খুব ভালো করে চেনেন। ওঁকে খুব শীঘ্রই ইডি ডাকবে। অভিষেকের গোরুপাচার, কয়লা পাচার সবকিছুর সঙ্গেই উনি জড়িত। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই অভিষেক যাবেন শ্রীঘরে। অভিষেক গেলে পিছনে পিছনে ধৃতিমানকেও যেতে হবে। অরূপের এধরনের বিস্ফোরক মন্তব্যে হাততালি দিতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সম্পাদক মহম্মদ রফিক বলেন, টিআরপি বাড়ানোর জন্য এসব কথা বলছে। এসব বলে চারটি হাততালি পাওয়া যায়। মানুষের মন জয় করা যায় না। সুজয়বাবু বলেন, পুরভোটে বিজেপির হয়ে মাত্র ১০০ ভোট পেয়েছিলেন অরূপ। মানুষ পাশে নেই। তাই ভাষা সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন উনি।