ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
লখনউ কিন্তু ধুঁকছে। পর পর দু’টি ম্যাচ হেরে বেশ চাপে লোকেশ রাহুলের দল। ঘরের মাঠে পরাজয়ের হ্যাটট্রিক এড়ানোই তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আর সেক্ষেত্রে বেশকিছু পরিবর্তন হতে পারে প্রথম দলে। আসলে ব্যাটিংয়ের মূল স্তম্ভ দুই ওপেনার কুইন্টন ডি’কক ও ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুল। দু’জনের ব্যাটেই ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট। পরের দিকে আয়ূষ বাদোনি, দীপক হুদা রয়েছেন। মিডল অর্ডারে বড় ভরসা মার্কাস স্টোইনিস ও নিকোলাস পুরান। এই দুই বিদেশি কিন্তু চেন্নাইয়ের মুখের গ্রাস কেড়ে নিতে পারেন। তবে চেন্নাইয়ের বোলিং বেশ শক্তিশালী। বিশেষ করে মাথিশা পাথিরানা গতিতে পরাস্ত করছেন ব্যাটসম্যানদের। গত ম্যাচে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে একাই শেষ করে দিয়েছিলেন মুম্বইকে। নিয়েছিলেন চারটি উইকেট। এছাড়া আছেন তুষার দেশপাণ্ডে, মুস্তাফিজুরের মতো পেসার। লখনউয়ের পিচ কিছুটা মন্থর। তাই একজন পেসার কম খেলিয়ে স্পিন বিভাগকে শক্তিশালী করতে পারে সিএসকে।
ব্যাটিংয়ে চেন্নাইয়ের বড় ভরসা ক্যাপ্টেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও শিবম দুবে। ওপেনার রাচীন রবীন্দ্র কিন্তু ছন্দে নেই। অজিঙ্কা রাহানেও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারছেন না। তুলনায় ড্যারিল মিচেল মিডল অর্ডারকে শক্তি জোগাচ্ছেন। তবে সবার নজর মহেন্দ্র সিং ধোনির উপর। কেরিয়ারের শেষ বেলায় তিনি ব্যাট হাতে মাঝে মধ্যেই ঝলসে উঠছেন। গত ম্যাচে ৪ বলে করেছিলেন অপরাজিত ২০। হার্দিক পান্ডিয়ার ওভারে পর পর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। লখনউয়ের বিরুদ্ধেও মাহিকে নিয়ে আবেগের ঢেউ খেলবে গ্যালারিতে।
লখনউয়ের বোলিং তেমন শক্তিশালী নয়। ফর্মে থাকা মায়াঙ্ক যাদবের চোট দলকে বিপাকে ফেলেছে। তবে তিনি ফিরলে গতির ডুয়েল জমবে এই ম্যাচে। শামার জোসেফও প্রতিভাবান। গতি রয়েছে। নতুন বলে তিনি বিপজ্জনক হতে পারেন। পাশাপাশি মহসিন খান, যশ ঠাকুরের মতো পেসারদের উপর ভরসা রাখছে লখনউ সুপার জায়ান্টস।
দুই দলেই রয়েছে একাধিক অলরাউন্ডার। তবে চেন্নাইয়ের রবীন্দ্র জাদেজা ও লখনইয়ের ক্রুণাল পান্ডিয়া ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা নিতে পারেন।