ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
জীবনে প্রথমবার প্রিয় নায়ককে চাক্ষুস করার উচ্ছ্বাস চেপে রাখেন কোন শক্তিতে? তিনি যেখানে বসে, সেদিকের গ্যালারির উদ্দেশে শাহরুখ চুম্বন ছুড়তেই জীবন যেন ধন্য হয়ে গেল বিপ্লবের। বন্ধুদের জড়িয়ে ধরে আনন্দে ভাসলেন ২৯ বছর বয়সি। তাজ্জবের ব্যাপার হল, তার পরনে কিন্তু রাজস্থান রয়্যালসের জার্সি!
আপনি শাহরুখের ভক্ত? দু’চোখ চকচক করে উঠল বিপ্লবের। হেসে জবাব দিলেন, ‘শুধু ভক্ত নই, পাগল ভক্ত। সেই টানেই সুদূর মুর্শিদাবাদ থেকে ছুটে এসেছি। গত বছরও ইডেনে এসেছিলাম। তবে সেবার ‘উপরওয়ালার’ দর্শন হয়নি। আগের ম্যাচে শাহরুখকে মাঠে দেখে আপশোস হচ্ছিল। খবরের কাগজে পড়লাম, কিং খান নাকি এই ম্যাচেও থাকবেন। ব্যাস, গতকাল রাতেই হাওড়ার ট্রেন ধরেছি।’ কথাগুলো বলতে বলতে চাপা আবেগে গলা বুজে আসছিল। নিজেকে সামলে বলতে শুরু করলেন, ‘সত্যিই এটা স্বপ্নপূরণের মুহূর্ত।’ কথা শেষ হওয়ার আগেই লাউডস্পিকারে বেজে উঠল ‘ঝুমে জো পাঠান।’ সঙ্গে সঙ্গে কোমর দোলানো শুরু। কিন্তু আপনি তো রাজস্থানের জার্সি পরে আছেন! উত্তর এল, ‘না আমি কেকেআরের ফ্যান নই। শুধু শাহরুখের টানেই এসেছি। তাই কম দামে যা জার্সি পেয়েছি, পরেছি।’
মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বাসিন্দা বিপ্লব। সদ্য বিয়ে হয়েছে। বাড়িতে রয়েছেন বয়স্ক মা-বাবা। চাষবাসই জীবিকা। বিল্পব বলছিলেন, ‘বিয়ের পর সংসারের হাল আমিই ধরেছি। চাষ করে কতটুকু আর ইনকাম হয়। তবে সুখ-দুঃখে ভালোই কেটে যাচ্ছে।’ শাহরুখের প্রতি এত প্রেম কীভাবে? ‘এটার কোনও উত্তর নেই। সেই ছোট বেলায় বাজিগর, বাদশা দেখতে দেখতে কখন যে কিং খানের ফ্যান হয়ে গেলাম টের পাইনি। আমার স্ত্রীও শাহরুখের ভক্ত। কিন্তু ওকে নিয়ে আসতে পারিনি। ওকে আনলে খরচ আরও খরচ বাড়ত। ফসল এখনও ওঠেনি, খরচা করব কীভাবে?’
একা বিপ্লব নন, মঙ্গলবার ইডেনে উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক শাহরুখ ভক্ত। কিং খানকে একবার চোখের দেখায় তাঁরাও ধন্য হয়েছেন। নীল জিনসের উপর সাদা টি-শার্ট পরা শাহরুখ খেলা শুরুর আগেই মাঠে পৌঁছে যান। সুনীল নারিনের চার-ছক্কার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গ্যালারিতে মাতিয়ে গেলেন ‘পাঠান’।