ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
মোহন বাগান-মুম্বই সিটি ম্যাচের মুখ্য আকর্ষণ ছিল উইং প্লে। দু’টি দলেই গতিশীল উইঙ্গার রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত লড়াই জিতলেন লিস্টন-মনবীররা। শুধু গতি নয়, পায়ের কাজ এবং ফুটবল সেন্সেও মুম্বইকে পিছনে ফেলেছেন তাঁরা। তাই ম্যাচের শেষে লিস্টনকে বলতে শোনা গেল, ‘বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে গত ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলাম না। তাই এদিন সেরা পারফরম্যান্স উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টায় ছিলাম। কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে ধন্যবাদ। উনি আমায় সেই সুযোগ করে দিয়েছেন। লিগ-শিল্ড জয় গোটা দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। তবে কাজ এখনও বাকি আছে।’ এদিনের গোলকে আইএসএলের সেরা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি।
লিস্টন কোলাসো এই দলের সম্পদ। দুরন্ত পেরিফেরাল ভিশন তাঁর রয়েছে। এছাড়া বিপক্ষ জাল তিনি সহজে দেখতে পান। দক্ষ গোলগেটারের যা ইউএসপি। এদিন বারবার বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের বিব্রত করে লিস্টন বোঝালেন, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁর উপর ভরসা করা যায়।
হাবাসের মোহন বাগান ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের উপর নির্ভরশীল নয়। দলগত সংহতিতেই বিশ্বাস রাখেন স্প্যানিশ কোচ। তা সত্ত্বেও পালতোলা নৌকার এই সাফল্যের জন্য লিস্টন ছাড়াও বলতে হবে জনি কাউকো, দিমিত্রি পেত্রাতোস ও আনোয়ার আলির কথা। মাঠে নেমে শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা তাঁরা বাকিদের মধ্যে খুব সহজেই ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন।
লিগ-শিল্ড জয়ের পর মোহন বাগানের লক্ষ্য এবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া। চ্যালেঞ্জ কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। সমর্থকরা ইতিমধ্যেই আশার জাল বুনতে শুরু করেছেন।