পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
পরিংখ্যান বলছে, দুই শিবির ৩২বার মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে ১৯ বার জিতেছে কেকেআর। চলতি আইপিএলে ঘরের মাঠে সানরাইজার্সকে উত্তেজনাময় লড়াইয়ে ৪ রানে হারিয়ে মনোবল তুঙ্গে নাইটদের। গত ম্যাচে জয় পেয়েছে বেঙ্গালুরুও। বড় রান এসেছে কোহলির ব্যাটে। ফলে দুই শিবিরই জয়ের ধারা বজায় রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বড় চিন্তা টপ অর্ডার ব্যাটিং। গত ম্যাচে ফিল সল্টের সঙ্গে সুনীল নারিনকে ওপেন করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য ছিল না। ক্যারিবিয়ান তারকার দ্রুত প্রস্থানে প্রতিপক্ষ বাড়তি অক্সিজেন পেতে পারে। তাই সল্টের সঙ্গে স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে ইনিংসের সূচনায় বেঙ্কটেশ আয়ারকেই পাঠানো উচিত। নীতীশ রানা গতবার নেতৃত্বের চাপ নিয়ে সেরাটা মেলে ধরতে পারেননি। এবার সেই বোঝা নেই তাঁর কাঁধে। তাই প্রথম দিকে উইকেট বাঁচিয়ে রান রেট সচল রাখার চেষ্টা করতে হবে নীতীশকে। একই সঙ্গে শট চয়নে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারের। এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জাতীয় দলে কোণঠাসা। বোর্ডের চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন। তার উপর কেকেআরের জার্সিতে প্রথম ম্যাচেই ব্যর্থ তিনি। সব মিলিয়ে বেঙ্গালুরুর ম্যাচটি শ্রেয়সের কাছে বেশ কঠিন পরীক্ষা।
টপ অর্ডার হতাশ করলেও কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত এবং মেন্টর গৌতম গম্ভীরের চিন্তা অনেকটাই দূর হয়েছে আন্দ্রে রাসেলের দুরন্ত ফর্মে। ইডেনে ২৫ বলে তাঁর অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংসই গড়ে দিয়েছিল জয়ের ভিত। কোনও সন্দেহ নেই, সেই আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে চিন্নাস্বামীর অপেক্ষাকৃত ছোট বাউন্ডারির ফায়দা তুলতে ব্যাকুল থাকবেন রাসেল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রামনদীপ সিংও নজর কেড়েছেন। আর রিঙ্কু সিং তো কয়েক বছর ধরেই দলকে ভরসা জোগাচ্ছেন। এই তিন ব্যাটসম্যান কেকেআরের মিডল অর্ডারকে শক্তিশালী করেছে। এদিকে, চিন্নাস্বামী আবার মণীশ পাণ্ডের হোম গ্রাউন্ড। তাই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে তাঁর খেলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং অনেকটাই কোহলি, ডু’প্লেসি এবং ম্যাক্সওয়েল নির্ভর। ফিনিশার হিসেবে দীনেশ কার্তিকও দুর্দান্ত। তাই আরসিবি’র বড় রানের পথ আগলাতে হলে শুরুতেই আঘাত হানতে হবে নাইট বোলারদের। সেক্ষেত্রে নতুন বলে মিচেল স্টার্কের ভূমিকা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে তিনি কতটা জ্বলে ওঠেন, সেটাই দেখার। স্পিন বিভাগে নারিন, সুয়াশের সঙ্গে বরুণকে খেলানো হতে পারে। এছাড়া হর্ষিত রানার উপরও নজর থাকবে।
তুলনায় আরসিবি’র বোলিংয়ের মূল শক্তি পেস আক্রমণ। তাই শক্ত পিচেই খেলতে চাইবে তারা, যাতে মহম্মদ সিরাজ, ক্যামেরন গ্রিন, আলজারি জোসেফ বাড়তি সুবিধা পান।