ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
বুধবার রাতে পুরুলিয়া জেলাস্কুল চত্বরে হস্টেল সংলগ্ন ঝোপে আগুন লেগে যায়। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে। স্কুল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে আসে দলকলের একটি ইঞ্জিন।
পুরুলিয়া পুরসভার কাউন্সিলার বিভাসরঞ্জন দাসও সেখানে হাজির হন। বেশ খানিকক্ষণের চেষ্টায় দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কীভাবে আগুন লেগেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ওই ঝোপে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ পুরুলিয়া শহরের দেশবন্ধু রোড এলাকায় বিএসএনএল-এর আবাসন চত্বরে আগুন লেগে যায়। সেই আগুন কেবিল এবং পাইপে ছড়িয়ে পড়ে। দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। আবাসনে থাকা বাসিন্দারা অনেকে আতঙ্কে রুম ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
দমকলের দু’টি ইঞ্জিন গিয়ে ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই চত্বরে থাকা পাইপ, কেবিল সহ বহু সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ওই আবাসনেরই বাসিন্দা প্রেমকুমার সিং বলেন, সকাল ৯টা নাগাদ আগুন লাগে। বিএসএনএল-এর কর্মীরা এখানে থাকে। পাইপ সহ বহু সামগ্রীর ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দু’টি আবাসনের দরজা ও জানালাতেও আগুন লেগে গিয়েছিল। বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই।
কর্তব্যরত দমকল কর্মীরা বলেন, খবর পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে দমকলের একটি গাড়ি নিয়ে আসা হয়। পরে আরও একটি গাড়ি আসে। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। আবাসন থাকায় সতর্ক থাকতে হয়েছিল। যে কোনও সময় বিপদ হতে পারত। কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।