বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
গ্রামাঞ্চলে পাম্প অপারেটর নিয়োগের ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, তানিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে বিতর্কের শেষ নেই। এর আগে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের হুড়িনান জলপ্রকল্পে দু’জন পাম্প অপারেটর নিয়োগ নিয়ে ঝামেলা হয়। জেলা পরিষদের সুপারিশ করা দু’জন পাম্প অপারেটর হিসেবে যোগ দিতে বিজেপি পরিচালিত খারুই-২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পাম্পে তালা ঝোলান। তারপর পুলিস সেই তালা খুলে দেয়। এবার ঝামেলা শুরু হয়েছে রামনগর-১ ব্লকের তালগাছাড়ি-২ পঞ্চায়েতে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন শঙ্করপুর জল সরবরাহ প্রকল্পে পাম্প অপারেটর হিসেবে বোধড়ার জিষ্ণুপ্রকাশ পাত্রের নাম সুপারিশ করা হয়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক নিজের প্যাডে ওই প্রকল্পে জিষ্ণুকে নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন। গত ৯জানুয়ারি সেই সুপারিশ হলেও এখনও ওই যুবক কাজে যোগ দিতে পারেননি।
জিষ্ণুর বাবা সত্যসুন্দর পাত্র বলেন, জেলা পরিষদ থেকে পিএইচই দপ্তরের কাছে পাম্প অপারেটর হিসেবে নাম পাঠানো হয়েছিল। পিএইচই দপ্তর থেকে সেইমতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের ছেলেকে পাম্প অপারেটর হিসেবে নিয়োগ করতে চাইছে না। এর ফলে ওই জলপ্রকল্পের কাজ শেষ হলেও চালু করা যাচ্ছে না। কয়েকশো পরিবারে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই জল প্রকল্প গড়া হয়। কিন্তু, গ্রাম পঞ্চায়েতের গোঁয়ার্তুমির কারণে পাম্প অপারেটর নিয়োগ ঝুলে। পাম্প থেকে বাড়ি বাড়ি জল যাওয়ার পরিকল্পনাও ঝুলে রয়েছে।গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান স্থানীয় ভিলেজ স্যানিটেশন কমিটির চেয়ারম্যান। পঞ্চায়েতের দাবি, পাম্প অপারেটর নিয়োগের ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতিতে নাম পাঠানো হয়। সেখান থেকেই নিয়োগ করার কথা। কিন্তু, জেলা পরিষদ এনিয়ে পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই একতরফা নাম সুপারিশ করছে। এর ফলে নিয়োগে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তালগাছাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সবিতা খাটুয়া বলেন, আমরা পঞ্চায়েত থেকে পাম্প অপারেটর হিসেবে দু’জনের নাম সুপারিশ করেছি। সেই নাম বিবেচনায় না রেখে জেলা পরিষদ নিজের মতো করে নিয়োগ করতে চাইছে। এটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই জেলা পরিষদের সুপারিশ করা প্রার্থীকে নিয়োগ করতে দেওয়া হয়নি। জল জীবন মিশন প্রকল্পে গোটা রাজ্যে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ওই কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। পাম্প চালু হওয়ার পর অপারেটর নিয়োগ করা হচ্ছে। এই নিয়োগে কারা সিদ্ধান্ত নেবে তা নিয়ে ঝামেলা শুরু হচ্ছে। এর আগে রামনগরে গোবরায় পাম্প অপারেটর নিয়োগ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘাত বেধেছিল। জেলা পরিষদ বনাম গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দ্বন্দ্বে সাড়ে তিন কোটির জলপ্রকল্প চালু করা যাচ্ছিল না। আবারও সেই রামনগরে একই ইস্যুতে ঝামেলা বাধছে। যেকারণে পরীক্ষামূলকভাবে পাম্প চালু হলেও বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ করা যাচ্ছে না।