আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
অনুপমের এই মন্তব্য আর বর্তমানে বোলপুরে বিজেপির প্রচার পরিস্থিতি দেখে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, পিয়া সাহাকে প্রার্থী করা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত হলেও নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাঁরা হয়তো প্রার্থীকে মেনে নিতে পারছেন না। আবার পিয়াও নিজের মতো করে প্রচারে জোর দিয়েছেন। তাঁর সারাদিনের কর্মসূচি সম্পর্কে খোঁজখবরই পান না দলের নেতা, কর্মীরা। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও তিনি খুব বেশি যোগাযোগ রাখেন না। যেসব এলাকায় প্রচারে যাবেন, সেখানে আগাম কোনও জানানো হচ্ছে না বলেও দলের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় উঠে আসছে। সেই কারণেই রাজ্য কিংবা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বোলপুর নিয়ে খানিক হতাশ বলে মনে করা হচ্ছে।
সেই জায়গায় বিজেপি নেতৃত্ব বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বীরভূম কেন্দ্রের উপর। সেখানকার প্রার্থী দেবাশিস ধরের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার চলছে। প্রার্থীর প্রচারে নেতাদের উপস্থিতি চোখে পড়ছে। প্রচারে অভিনবত্ব এনে মানুষের মনজয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে দল। ভোটের স্ট্যাটেজি ঠিক করতে দফায় দফায় বৈঠকও হচ্ছে। অথচ, বোলপুর কেন্দ্রে তার সিকিভাগও লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। দলের কেন এই মনোভাব? তা নিয়ে ধন্দে নিচুতলার কর্মীরা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ইলামবাজারের এক বিজেপি কর্মী বলছিলেন, এখনও দেওয়াল লিখনের নির্দেশই আসেনি। যেটুকু করেছি নিজেদের উদ্যোগে। এসব করতে টাকা লাগে। সেই টাকা কোথা থেকে আসবে, তাও বোঝা যাচ্ছেনা। কেমন যেন ছন্নছাড়া ভাব। জেলা সভাপতিকে বলেও কিছু লাভ হচ্ছে না। সেই সঙ্গে বোলপুর কেন্দ্রের কর্মীদের আশঙ্কা, রাজ্য নেতৃত্বের আনাগোনা না বাড়ালে আসনটি হাত ছাড়া হয়ে যাবে। এখানেই জোরালো হচ্ছে অনুপমের তত্ত্ব।
যদিও ভালো ফলাফলের ব্যাপারে আশাবাদী জেলা নেতৃত্ব। বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের এলাকাতেও দলের শীর্ষনেতারা জনসভা করবেন। দেরিতে ভোট। তাই পরে পরে আমাদের এলাকাতে বড় আকারে কর্মসূচি রাখা হয়েছে। আর প্রার্থী একদিনও বসে নেই। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় ছুটছেন। মানুষের ভালো সাড়া পাচ্ছেন।’ প্রার্থী পিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল বলেন, ‘আমি অন্য দলের ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।। নিজেদের প্রচারে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। আগের বারের থেকে এবার আরও বেশি ভোট পাব।’