সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বছর পাঁচেক আগে পরিকাঠামোর দোহাই দিয়ে পিএফ অফিস রাতারাতি বহরমপুরে চলে যায়। যা নিয়ে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ভোট এলেই জঙ্গিপুরে পিএফ অফিসের দাবি ওঠে। নেতারা প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু অনেক ভোট হয়ে গেলেও পিএফ অফিস আর জঙ্গিপুরে ফিরে আসেনি।
জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন বলেন, কেন্দ্র বিভিন্ন আইন প্রণয়ন ও কর বৃদ্ধি করে বিড়ি ব্যবসাটাই বন্ধ করে দিতে চাইছে। পিএফ অফিস কেন্দ্রের নির্দেশেই চলে গিয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। জঙ্গিপুর মহকুমায় এখন প্রায় ১২ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখে ২০০৫ সালে রঘুনাথগঞ্জের মঙ্গলজোনে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই পিএফ অফিস চালু করা হয়। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় পিএফ অফিসের উদ্বোধন করেন। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, এখানকার বিড়ি শ্রমিকদের ইপিএফের আওতায় আনা। প্রায় পাঁচ লক্ষের বেশি বিড়ি শ্রমিক ইপিএফের আওতায় নাম নথিভুক্ত করেন। কয়েকবছর পিএফ অফিসে স্বাভাবিক কাজকর্ম হলেও পরে সামান্য কয়েকটি পরিষেবা পেতেন শ্রমিকরা। এরপর ২০১৮ সালে রাতারাতি মঙ্গলজোন থেকে পিএফ অফিস বহরমপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। জঙ্গিপুরের এত শ্রমিকদের কাজ করার জন্য যথেষ্ট পরিকাঠামো ছিল না বলে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের সম্মতিতে পিএফ অফিস স্থানান্তরিত করা হয়।
জঙ্গিপুরের বিদায়ী সাংসদ খলিলুর রহমান সহ সূতি, জঙ্গিপুর ও সাগরদিঘির তিন তৃণমূল বিধায়কই বিড়ি কোম্পানির মালিক। শ্রমিকদের দাবি, সাংসদ ও বিধায়করা এর কিছু একটা বিহিত করুন।
কংগ্রেসের মহকুমা সভাপতি হাসানুজ্জামান বাপ্পা বলেন, আমরা এনিয়ে বহু আন্দোলন করেছি। যে এলাকায় শ্রমিকদের বাস, সেখান থেকে পিএফ অফিস সরিয়ে নিয়ে যাওয়া তুঘলকি কাণ্ড। বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, এটা সম্পূর্ণভাবে সরকারি সিদ্ধান্ত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা ভালো ভেবেছেন, তাই করেছেন। তবে আমি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেলে পিএফ অফিস যাতে জঙ্গিপুরেও খোলা যায়-সেবিষয়ে চেষ্টা করব।
জঙ্গিপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা শাসকদলের প্রার্থী খলিলুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের স্বার্থে পিএফ অফিসের দাবিতে সংসদে আওয়াজ তুলেছি। মানুষ আমাকে কাজ করার সুযোগ দিলে জঙ্গিপুরে অন্তত পিএফের সাব অফিস খোলার চেষ্টা করব।