যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
সুজাতা বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সেনা জওয়ানদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। মণিপুরে এতদিন ধরে অশান্তি চলছে। সেখানকার বিজেপি সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এপ্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ বলেন, পাঁচালের শহিদ পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি। বীর জওয়ানের মৃত্যু নিয়ে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করতে চাই না।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে মণিপুরে সিআরপিএফ ফাঁড়িতে কুকি জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা চালায়। শনিবার ভোরে দু’জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ১২৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের হেড কনস্টেবল সোনামুখীর পাঁচাল গ্রামের বাসিন্দা অরূপ সাইনি শহিদ হন। ওইদিন সকালে সেই খবর পৌঁছতেই পরিবারে শোকের ছায়া নামে। ওইদিন রাতে সেনাবাহিনীর বিমানে করে পানাগড়ে দেহ আনা হয়। গ্রামবাসীরা রাত জেগে মঞ্চ বাঁধেন। সেখানে শহিদ জওয়ানকে শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করা হয়।
রবিবার সকালে পানাগড় থেকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে দেহ আসার খবর পেয়ে পাঁচাল ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কাতারে কাতারে মানুষ আসেন। তার আগে বহু মানুষ বেশ কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে সেনাবাহিনীর গাড়ির পিছনে বাইকে জাতীয় পতাকা নিয়ে শোক মিছিল করে শহিদ জওয়ানের নামে স্লোগান দিতে দিতে আসেন। সকাল ৭টা নাগাদ সেনাবাহিনীর গাড়ি দেহ নিয়ে গ্রামে পৌঁছয়। শহিদ জওয়ানের স্ত্রী, বাবা সহ পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে গ্রামের শ্মশানে নিয়ে যাওয়ায় হয়। সেখানে পুলিস ও সিআরপিএফের পক্ষ থেকে গান স্যালুট জানানো হয়। গ্রামবাসীরা চোখের জলে তাঁকে বিদায় জানান। শহিদ সিআরপিএফ জওয়ান অরূপ সাইনি।