সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
এদিন, নলহাটি, রাপুরহাটেও মহা সমারোহে পালিত হয় রামনবমী। দুপুরে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ছাড়াও আশেপাশের গ্রাম থেকে বহু হিন্দু ধর্মের মানুষ রাম মূর্তি সহকারে শোভাযাত্রা করে স্টেশন সংলগ্ন মাঠে একত্রিত হন। পরে সেখান থেকে বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়ে গোটা শহর প্রদক্ষিণ করে। বিজেপির পাশাপাশি বহু তৃণমূল নেতা, কর্মী সমর্থকদেরও মিছিল করতে দেখা যায়। শহর ঢোকার মুখে রামরামপুর গ্রামের আতাহার শেখ, নজরুল শেখ, আবুল হোসেন সহ অনেকে মিলে শহরের অভিমুখে যাওয়া রামনবমীর মিছিলে অংশগ্রহনকারীদের ঠাণ্ডা জল বিতরণ করেন। সেই সঙ্গে প্রায় হাজার খানেক মানুষকে পাত পেড়ে খিচুড়ি, আলুর দম ও পাঁচমেশালি তরকারি খাওনোর ব্যবস্থা করেন। হিন্দু ভাইরা সেখানে তৃপ্তি করে খান। মূল উদ্যোক্তা আতাহার বলেন, ‘বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে এখানে আমরা হিন্দু-মসুলিম মিলেমিশে থাকি। হিন্দুরা যেমন আমাদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকেন, আমরাও সেভাবে থাকি। এখানে কোনও ভেদাভেদ নেই। তীব্র দাবদহের মধ্যে হিন্দু ভাইরা ধর্মীয় উৎসবে মেতে উঠেছেন। তাই রামনবমীতে তাঁদের জন্য ঠাণ্ডা জল ও নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থা করেছি।’
অন্যদিকে নলহাটি শহরের গেঁদুয়া পাকুড়তলা মোড়ে সকাল থেকেই ক্যাম্প করে বসেছিলেন টনি আলিরা। সঙ্গে প্রায় ১৫ কেজি বাতাসা ও বারো হাজার বোতলবন্দি জল। সকাল নটা থেকে বিকেলে তিনটে পর্যন্ত তাঁরা রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া মানুষজনকে জল বাতাসা তুলে দিলেন।
জলপান করে খুশি হয়ে টনি আলিদের চকলেটও খাওয়ালেন সকলেই। টনি, একরামূলরা বলছিলেন, ‘কোনও কৃতিত্ব পাওয়ার জন্য আমরা এই আয়োজন করিনি। তীব্র গরমে শোভাযাত্রায় অনেকে নাচতে নাচতে বা হাঁটার ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তাই শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া হিন্দু ভাইদের কিছুটা স্বস্তি দিতেই দ্বিতীয় বর্ষের জন্য এই জলছত্রের আয়োজন করেছি। ধর্ম আলাদা হতে পারে। কিন্তু সবার উপরে মানুষ সত্য। নলহাটির সকল হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, সেই বার্তাই তুলে ধরা হল।’
জলছত্রে ও খাবারের আয়োজকদের প্রশংসা করেছেন রামপুরহাট মহকুমাশাসক সৌরভ পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ চিরকালই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন দেখিয়ে আসছে বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে। এদিন সব ধর্মের মানুষ মিলে এই উৎসব উদযাপন করেছেন।’