সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পলাশীপাড়া বিধানসভায় ‘মানিক-কাঁটা’ বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের কাছে। বিধায়কের ভাবমূর্তি তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াইকে ভোটের আগে কিছুটা হলেও কঠিন করে তুলেছে। তাই এই বিধানসভায় বিরোধীদের বড় অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেপ্তার। প্রচারের ময়দানে তা নিয়ে বিরোধী শিবির, বিশেষ করে সিপিএম আক্রমণের ঝাঁঝ প্রথম থেকেই বাড়িয়ে রেখেছে। একুশের নির্বাচনে মানিক ভট্টাচার্যকে ভোট দিয়ে সাধারণ মানুষ ভুলে করেছে সেটাই প্রচারে স্মরণ করাচ্ছে বাম শিবির। কিন্তু সেই মানিক কাঁটা উপড়ে ফেলেই পলাশীপাড়া বিধানসভা থেকে লিড পেতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। কাঁটা উপড়ে ফেলতে উন্নয়নকেই হাতিয়ার করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের দিন পর্যন্ত মেগা প্রচার করে নিজেদের পালে হাওয়া টানতে তৎপর শাসকদল। শুধু পলাশীপাড়া বিধানসভা নয়, পিছিয়ে থাকা তেহট্ট ও কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভাতেও বিশেষ নজর দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এই বিধানসভার অন্তর্গত তেহট্ট-২ ব্লকের তৃণমূলের সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রণয় চৌধুরী বলেন, আমরা এবার পলাশীপাড়া বিধানসভা থেকে ৪০ হাজার লিড দিয়ে মহুয়া মৈত্রকে জেতাব।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে ঘাসফুল শিবিরের লিড ধরে রাখতে পলাশীপাড়া বিধানসভা অন্যতম ভূমিকা নিয়ে থাকে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে পলাশীপাড়া বিধানসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ৩৬ হাজার ভোটের লিড পেয়েছিল। একুশে নির্বাচনের সেই লিড বেড়ে হয় ৫১ হাজার। কিন্তু তারপর পলাশীপাড়ার রাজনীতিতে অনেক জল গড়িয়েছে। শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে নিজেদের পায়েই কুডুল পড়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেশি কিছু জায়গায় দাঁত ফুটিয়েছে রাম-বাম শিবির। তাই গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে লিড এবার ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের। তার উপর গোঁদের উপর বিষফোঁড়া বিধায়কের গ্রেপ্তার হওয়া। তা বলে বসে নেই শাসকদল। পুরোনো জমি ফিরিয়ে আনতে ময়দান কামড়ে পড়ে আছেন নেতারা। বুথ ভিত্তিক কর্মসূচি করা হচ্ছে। সম্প্রতি বিধায়কদের সঙ্গে মহুয়া মৈত্রের বৈঠক হয়। সেখানেই লড়াইয়ের রূপরেখা তৈরি করা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিধানসভা এলাকাজুড়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হবে।