সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
কয়েকদিন আগে কৃষ্ণনগরের কদমতলা ঘাটের কাছে একটি লজে সঙ্ঘের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক হয় বিজেপির। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে সঙ্ঘের প্রান্ত প্রচারক ও ক্ষেত্র প্রচারক উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দফায় কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির বর্তমান সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। নির্বাচন সংক্রান্ত নানা বিষয় নেতৃত্বের কাছে জানতে চান তাঁরা। সেইমতো তাঁরাও ভোট প্রস্তুতির কথা বলেন। যা শুনে সঙ্ঘের সদস্যরাও খুশি হন। কিন্তু তাল কাটে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে। সেই বৈঠকে বিজেপির বহু আদি কর্মী ছিলেন। তাঁরা সঙ্ঘের সদস্যদের সামনেই নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন।
বিজেপির এক নেতার কথায়, আমাদের আদি কর্মীদের কিছু লোক সঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত আছেন। যাঁরা একাধিকবার দায়িত্ব সামলেছিলেন। তাঁরাই এই বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিলেন। আমাদের যা সমস্যা ছিল তা জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, আদি কর্মীদের অভিযোগ শুনে বৈঠকে সঙ্ঘের এক সদস্য সবটাই জানেন এবং শুনেছেন বলে জানান। যখন যিনি দায়িত্বে থাকেন তিনি তখন খারাপ হন বলেও মন্তব্য করেন। যা শুনে এক আদি কর্মী রীতিমতো সুর চড়িয়েই সেই খারাপের মধ্যেও কিছু ভালো থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে সঙ্ঘের অপর এক সদস্য বলেন, যে যাই করুক সবাই তো আর চিরস্থায়ী নয়। তাই একজোট হয়ে লড়তে হবে, যা শুনে এক আদি বিজেপি কর্মী আরও চটে যান। তিনি বলেন, আমরা কি ভিখারি নাকি? আমাদের ডাকবে না, আর আমরা চলে যাব? সবশেষে সঙ্ঘের সদস্যদের তরফ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়।
বিজেপির কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, এবার তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। সারা বাংলাজুড়ে যে স্বৈরতন্ত্র চলছে তা উৎখাত করার লড়াই। এটা ব্যক্তিগত মান-অভিমান করার সময় নয়।