সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
হাঁসখালি থানার পায়রাডাঙার বাসিন্দা যতীন্দ্রনাথবাবুর বয়স ৬৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। সহজভাবে কথা বলতেও কষ্ট হয় তাঁর। বৃদ্ধের তিন ছেলে বিকাশ সরকার, প্রকাশ সরকার এবং পলাশ সরকার কেউই বাবার সঙ্গে থাকেন না। প্রত্যেকেই নিজেদের পরিবার নিয়ে অন্যত্র থাকেন। বৃদ্ধের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরেই এক চিলতে বসতবাড়িটি নিজেদের নামে লিখিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে আসছে তিন ছেলে। শুধু তাই নয়, তাঁরা প্রত্যেকেই বিজেপির সমর্থক হওয়ায় বাবাকেও স্থানীয় এলাকায় বিজেপির মিটিং মিছিলে যাওয়ার জন্য জোর করতে শুরু করেন। নিজে তৃণমূলের সমর্থক হওয়ায় বিজেপিকে ভোট দিতে অস্বীকার করেন যতীন্দ্রনাথবাবু। আর এর জেরেই গত ৩ মার্চ বাড়িতে এসে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন তিন ছেলে। যাতে তিনি ভোট দিতে না পারেন, তাই কেড়ে নেওয়া হয় বৃদ্ধের আধার ও ভোটার কার্ড। অসহায় বৃদ্ধ বলেন, আমি বরাবরই তৃণমূলকে সমর্থন করি। কিন্তু ছেলেরা সেটা চায় না। ওদের কথা মতো বিজেপিকে ভোট না দিলে বলেছে আমায় গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেবে। আমি ছেলেদের কথা না মানায় আমার সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কেড়ে নিয়েছে ওরা।
এরপর গত ১৪ মার্চ ফের পায়রাডাঙার বাড়িতে চড়াও হয়ে বৃদ্ধের অভিযুক্ত তিন ছেলে তাঁকে ফের মারধর করে বলে অভিযোগ। অবশেষে মঙ্গলবার রানাঘাট মহকুমা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে বিচার চেয়ে তিনি তিন ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিন দুপুরে আদালত চত্বরে এসে কার্যত অসহায়ভাবে বসেছিলেন যতীন্দ্রনাথবাবু। কাঁপা গলায় বলেন, এতদিন ছেলেরা শুধুমাত্র সম্পত্তির জন্য আমায় শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করত। এখন ওদের কথা অনুযায়ী নিজের ভোটটাও দিতে পারব না। তাই বিচার চাইতে এসেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে বলে মহকুমা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে বৃদ্ধের বড় ছেলে বিকাশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। বিকাশ সরকার দক্ষিণ ২৪ পরগনার এসিজেএম আদালতের কর্মী বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেন, বাবার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। এর আগেও বিভিন্ন ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে বাবা আমাদের হেনস্থা করার চেষ্টা করেছিলেন। আমরা তিন ভাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। বাবাকে এই ভাবে হেনস্থা করার প্রশ্নই আসে না।