বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
নিগৃহীত ওই নেতার বাড়ি ময়না থানার পরমানন্দপুর গ্রামে। তিনি পরমানন্দপুর অঞ্চল তৃণমূলের সদস্য। তাঁর দাদা ময়না পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। নিগৃহীত ওই নেতা চাকরি দেওয়ার নামে আগেও টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু, চাকরি হয়নি। এই অবস্থায় গোকুলনগরের মাজিপাড়ার চাকরিপ্রার্থী কৃষ্ণেন্দু মাজি তাঁকে আরও টাকা দেওয়ার টোপ দিয়ে এলাকায় ডেকে পাঠান। সেই টোপ গিলে সোমবার সকালেই মাজিপাড়ায় পৌঁছে যান ওই নেতা। তারপরই গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে ফেলেন। নিগ্রহ করার পর পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুধুমাত্র গোকুলনগর থেকেই চাকরি দেওয়ার নামে দু’কোটি টাকা তোলা হয়েছে। রীতিমতো সিন্ডিকেট গড়ে ওই টাকা তোলা হয়েছে। টাকা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন অনেকেই। পরমানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই তৃণমূল নেতা নিয়োগের জন্য টাকা নেওয়ার কথা স্বীকারও করেন। তাঁকে ঘিরে হইচই হওয়ার পরই ওই নেতাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
প্রতারিত চাকরিপ্রার্থী কৃষ্ণেন্দু মাজি বলেন, ওই নেতা আমাকে সরকারি অফিসে গ্রুপ-সি পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেইমতো আমি তাঁকে কয়েক হাজার টাকা দিয়েছিলাম। সোমবার সকালে আরও ১০হাজার টাকা আনতে বাড়িতে এসেছিলেন। তখনই গ্রামবাসীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। তারপর পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ওই নেতার দাদা তথা ময়না পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বলেন, আমরা ভাইয়েরা আলাদা থাকি। ভাই তৃণমূল কংগ্রেস করে। ১০হাজার টাকার জন্য এদিন ওকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলে জেনেছি। তারপর গণ্ডগোল হয়। পুলিস তাকে থানায় নিয়ে যায়। আমরা থানায় গিয়ে দেখি, বিজেপির লোকজন ভিড় করে আছেন।
প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তারপর প্রশাসন যা সিদ্ধান্ত নেবে আমরা মেনে নেব। ময়না ব্লক তৃণমূল সভাপতি সন্দীপব্রত দাস বলেন, আমাদের পার্টি এধরনের কাজকে একদম প্রশ্রয় দেয় না। ওই ব্যক্তি টাকা নিয়ে থাকলে নিজেই এরজন্য দায়ী থাকবেন। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।