যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
ভোট ঘোষণার পর কৃষ্ণনগর লোকসভা থেকে প্রচার শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাসফুল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর সমর্থনে ধুবুলিয়ায় বিরাট জনসভা করেন তিনি। প্রচার কর্মসূচি কৃষ্ণনগর লোকসভা দিয়ে শুরু করে ঘাসফুল শিবির বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে চব্বিশের নির্বাচনে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ তাঁরা। সিএএ অস্ত্রে শান দিয়েই ভোট বৈতরণী পার করতে চায় তৃণমূল। তাই আগামী ২ মে তেহট্টের বেতাইয়ে জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের দাবি, তেহট্ট বিধানসভায় এবার তৃণমূলের লড়াই বেশ কঠিন হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী সভার পর সুবিধা পাবে তৃণমূল। ৫ মে নাকাশিপাড়া কিংবা কালীগঞ্জে প্রচারে আসার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল প্রার্থী তথা কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি মহুয়া মৈত্র বলেন, আমাদের নেত্রী ফের কৃষ্ণনগর লোকসভায় আসছেন। দিদিকে স্বাগত জানাতে আমরা উদগ্রীব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন প্রচার কর্মসূচিতে।
অন্যদিকে কৃষ্ণনগর লোকসভা থেকেই সারা দেশে চব্বিশের নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে ভিড়ে ঠাসা জনসভায় বক্তৃতা করেন তিনি। প্রসঙ্গ উল্লেখ না করেই প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কৃষ্ণনগর লোকসভাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস তথা বিদায়ী সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে রুখতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে গেরুয়া শিবির। এবার চব্বিশের নির্বাচনে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রটি বিজেপির প্রেস্টিজ ফাইটের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার অন্যতম কারণ হল, দিল্লির পার্লামেন্ট থেকে মহুয়া মৈত্রের অনৈতিক বহিষ্কার। কৃষ্ণনগর লোকসভা ফের বিজেপির হাতছাড়া হলে জাতীয় স্তরে মুখ পুড়বে নরেন্দ্র মোদির। তাই মোদিকে দু’ মাসের ব্যবধানে ফের প্রচারে আসতে হচ্ছে। আগামী ৩ মে তেহট্টে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের দাবি, একই কেন্দ্রে দু’বার প্রধানমন্ত্রীর প্রচারে আসা একপ্রকার বেনজির। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে বিজেপি, কৃষ্ণনগর লোকসভাকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সভা চূড়ান্ত হতেই বাতিল হয়েছে মঙ্গলবার পলাশীপাড়ায় অমিত শাহর শোভাযাত্রা। তবে ভোটের আগে কৃষ্ণনগরে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে দেখা যেতে পারে যোগী আদিত্যনাথকে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের তালিকায় রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তীও। বিজেপির মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, আমরা কৃষ্ণনগর লোকসভায় জিততে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ফের কৃষ্ণনগর লোকসভায় প্রচারে আসছেন। এবার জয় আমাদের নিশ্চিত।