সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
ডিসি আশিস মৌর্য বলেন, শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটেছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের পাশাপাশি সোর্স ইনফরমেশনও নেওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীর টাকা ধার দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। সেই বিষয়টিও আমরা নজরে রাখছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনাকুড়ি বাজারের উপরই থাকা রেলওয়ে সাইডিংয়ের কাছে উমাশঙ্করবাবুর অফিস রয়েছে। বাড়ির একাংশজুড়েই অফিস। পাশে রয়েছে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার। একসময় ওই এলাকায় তাদের হোটেল ছিল। বর্তমানে মাইক্রো ফিনান্সের অফিস হয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাজকুমার শর্মা বলেন, এক যুবক এসে কোনও একজনের নামে টাকা দেওয়ার কথা বলে। উমাশঙ্করবাবু তাকে চিনতে পারেননি। পরে ফের ঘুরে এসে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতী। তাঁর কান, গলা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক গুলি লাগে। অফিসের কাচের দরজাও ভেঙে পড়ে। গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হেঁটেই দুষ্কৃতী এলাকা ছাড়ে। হাসপাতালে ব্যবসায়ীর আত্মীয় অবিনাশ যাদব বলেন, তাঁর সঙ্গে সেভাবে কারও শত্রুতা ছিল না। রবিবারই চেন্নাই থেকে ফিরেছেন। কারা এই ঘটনা ঘটাল বুঝতে পারছি না।
অনেকে এই ঘটনার সঙ্গে গতবছর দুর্গাপুজোর আগে শম্ভু মিশ্র খুনের ঘটনার মিল পাচ্ছেন। সেদিনও চিনাকুড়ি বাজারে শম্ভু চা খাচ্ছিলেন। তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। ঘটনার তদন্তে পুলিস জানতে পারে, ওই ব্যবসায়ী সুদের কারবারি ছিলেন। টাকাপয়সার লেনদেনের টানাপোড়েনের জন্যই স্থানীয় বাসিন্দা ভাড়াটিয়া খুনি এনে খুন করিয়েছিলেন। এক্ষেত্রেও খুনের পিছনে সুদ কারবারের জেরে অর্থ নিয়ে টানাপোড়ানোর বিষয়টি প্রাথমিকভাবে উঠে আসছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কুলটির বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার। তিনি বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কতটা ভেঙে পড়েছে চিনাকুড়ির ঘটনা থেকে স্পষ্ট। ছ’মাসে দু’জন ব্যবসায়ী খুন হলেন। গোটা বাংলাজুড়েই বোমা-পিস্তলের বাড়বাড়ন্ত চলছে। চিনাকুড়িও তার ব্যতিক্রম নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ভি শিবদাসন দাশু বলেন, গতবারের ঘটনায় পুলিস সব অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছিল। এবারও তদন্ত করছে। ভোটের মুখে ইস্যু না পেয়ে সব ঘটনাতেই রাজনীতির রং লাগাচ্ছে বিজেপি।