শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দি ও জলঙ্গিতে মণ্ডল সভাপতির নির্বাচন নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত দেখা দিয়েছিল। বহু টালবাহানার পর ওই দুই এলাকায় তারা মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন করে। জেলার অন্যান্য প্রান্তেও তাদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। দলের অনেকেই মনে করছেন, আদি এবং নব্যদের দ্বন্দ্ব সংগঠনকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। জেলার বহরমপুর, কান্দি, জিয়াগঞ্জ, আজিমগঞ্জ, বেলডাঙার মতো কিছু জায়গায় গেরুয়া শিবিরের কর্মী এবং সমর্থকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। কংগ্রেস এবং সিপিএম থেকেও অনেকেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তাঁরাও এখন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসার দাবিদার হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে, আদিরাও তাঁদের জায়গা ছাড়তে নারাজ। সেই কারণে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।
জেলা নেতৃত্ব সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রয়েছেন বহরমপুর শহর নিয়ে। এই শহরে বিজেপির সমর্থক অনেক বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু, দুই গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় জেলা নেতৃত্ব চাপে রয়েছেন। দলের এক নেতা বলেন, কিছুদিন আগে জেলার বুথ কমিটি নির্বাচন হয়েছে। যদিও সব ব্লকে বুথ কমিটি গঠন করা যায়নি। এই জেলায় ১০০ শতাংশ বুথে কখনওই কমিটি গঠন সম্ভব নয়, সেটা রাজ্য নেতৃত্বও জানেন। বুথ সভাপতিরা মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। বুথ সভাপতি ঠিক করা নিয়ে তেমন সমস্যা হয়নি। কিন্তু, মণ্ডল কমিটি নির্বাচন নিয়ে বেশিরভাগ জায়গাতেই অশান্তি হচ্ছে। বহরমপুর বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব আশাবাদী। কিন্তু, এভাবে চলতে থাকলে স্বপ্নভঙ্গ হবে।
বহরমপুর উত্তর মণ্ডলের বিজেপি নেতা বিভাস হাজরা বলেন, শহরের মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল। তা নিয়ে একটা অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্ব দেখছে। আশা করি, রাজ্যের নেতাদের হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, রাজ্য নেতৃত্ব মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করবে।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। বেশ কয়েকবার তা প্রকাশ্যে এসেছে। মণ্ডল কমিটির পর জেলা সভাপতি নির্বাচন হবে। তা নিয়েও কোন্দল চূড়ান্ত আকার ধারণ করবে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।