ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, যে কোনও সরকারি দল সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে থাকে। বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও গত কয়েকবছরে মা-মাটি-মানুষের সরকার রাজ্যে যা কাজ করেছে, তা শেষ কয়েক দশকেও হয়নি। রাজ্য সরকারের যাবতীয় কর্মসূচি রূপায়ণে মালদহ জেলা প্রশাসন মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছে। সেই কারণে জেলাবাসী সেসবের সুফল পেয়েছে। জেলার প্রতিটি বাড়িতে কোনও না কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে গিয়েছে। সেসব নিয়ে আমরা ভোটে লাগাতার প্রচার করছি। এব্যাপারে দলের বুথস্তর পর্যন্ত কর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও বিরোধীরা শাসক দলের প্রচারকে ভোঁতা করতে পাল্টা দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগকে ইস্যু করছে।
এব্যাপারে উত্তর মালদহের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু বলেন, উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ দিলেও তা গরিব মানুষের কাছে পৌঁছয় না। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুষ্ঠু রূপায়ণে আধিকারিকদের একাংশ গড়িমসি করেন। সময়ে নির্ধারিত বৈঠকও জেলায় হয় না। রাজ্যের শাসক দল দুর্নীতি ও স্বজনপোষণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী বলেন, মালদহে এখনও বহু মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে। তাদের উন্নতির জন্য কেন্দ্র বা রাজ্য কোনও সরকারই ভাবিত নয়। জেলার সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সঠিক নীতি প্রণয়ন জরুরি। কংগ্রেস জমানায় বিধানচন্দ্র রায়ের আমলেই একমাত্র রাজ্যবাসী প্রকৃত উন্নয়নের স্বাদ পেয়েছিল। বাংলার সেই গৌরব আজ অতীত।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির আওতায় শিবির খোলা, আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং দ্রুততার সঙ্গে পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মালদহ উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। ভূতনির চরের মতো দুর্গম এলাকায় নৌকো নিয়ে প্রশাসনের কর্মী-আধিকারিকরা শিবির করেছেন। জনসংযোগ কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট সুবিধা যুক্ত যাবতীয় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। এক্ষেত্রে বাসিন্দাদের বিভিন্ন পবিষেবা বা ভোগ্যপণ্যের বিল জমা দিতে আর হয়রানি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অফিসে যেতে হয় না। তারফলে জেলাবাসীর অর্থ ও সময় সাশ্রয় হচ্ছে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু এবং পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে রাজ্যের প্রথম তিন জেলার মধ্যে মালদহ ঠাঁই পেয়েছিল বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা দাবি করেছেন। জেলা থেকে অনেকে পুরস্কৃতও হয়েছেন বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। সেইসব বিষয়গুলিই তৃণমূল প্রচারে হাতিয়ার করছে।