আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
২০০০ সাল থেকে দেওয়াল লিখন প্রচারের জায়গায় ধীরে ধীরে থাবা বসাতে শুরু করে ফ্লেক্স, ফেস্টুন ও ব্যানারের প্রচার। ২০১০ সাল পর্যন্ত দেওয়াল লিখনের মাধ্যেমে প্রচারে জোর দিত রাজনৈতিক দলগুলি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রচারের চাহিদা ক্রমেই কমতে থাকে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দেওয়াল লিখনের চাহিদা আরও কমে। বর্তমানে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দেওয়াল লিখনের মাধ্যেমে ভোটের প্রচার একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। দেখা গিয়েছে, গোটা দেশের সঙ্গে দেওয়াল লিখনে ভাটা পড়েছে উত্তরের বাণিজ্যনগরী হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়িতেও। দার্জিলিং লোকসভা আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ১৪টি দল। এরমধ্যে জাতীয় স্তরের দল রয়েছে তিনটি। নির্দল ও অন্য ছোট দলগুলির দেওয়াল লিখন যেমন কোথাও নজরে পড়ছে না। তেমনই প্রধান তিন দল তৃণমূল, কংগ্রেস ও বিজেপিরও দেওয়াল লিখনে প্রচারের সংখ্যা গোটা লোকসভা কেন্দ্রে হাতেগোনা কয়েকটি। তবে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির ভোটপ্রচারের যে ব্যপক প্রবণতা, তাতে আগামী দিনে ফ্লেক্স, ব্যানারে প্রচারও দেওয়াল লিখনের জায়গায় চলে যাবে বলে আশঙ্কা বিভিন্ন শিল্পী ও ফ্লেক্স, ব্যানার ছাপাখানার মালিকরা। অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির আশঙ্কা, এক্ষেত্রে অনেক সময় বিভিন্ন ভুল তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। ভোটারদের কাছেও দলগুলি সম্পর্কে ভুল বার্তা যাচ্ছে।
আগে নির্বাচন এলে দেওয়াল লিখন শিল্পী ও থার্মোকলের শিল্পীদের যে চাহিদা রাজনোইক দলগুলির মধ্যে দেখা যেত, আজ তা অতীত। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভার বাড়িভাসার দেওয়াল লিখন শিল্পী জয়ন্ত রায় বলেন , ১৫-২০ বছর আগে আমাদের যে কদর ছিল, আজ তা নেই। এই নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলির তরফে মাত্র দু’টি দেওয়াল লিখনের অর্ডার পেয়েছিলাম। থার্মোকলের তিনটি কাজ পেয়েছিলাম। এদিয়ে সংসার চলে না। এখন ফ্লেক্স ও ব্যানারের রমরমা। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারের ঝোঁক বাড়ছে।
দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি এখন খুব কঠিনভাবে মানা হয়। তাই সরকারি দেওয়ালে প্রচার করা যায় না। আবার অনেকে নিজের বাড়ির দেওয়াল প্রচারের জন্য দিতে চান না। সেকারণে এখন দেওয়াল লিখনের সংখ্যা কমে গিয়েছে।