সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলের পাঁচজন নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানালেন। গঙ্গারামপুরের নন্দনপুর ও রতনপুর এলাকার জেলা তৃণমূলের প্ৰাক্তন সভাপতি মৃণাল সরকার, নুরুল ইসলাম, সঞ্জয় সরকার, প্রদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং অমল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সুকান্ত। বুধবার জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সুকান্ত। তাঁর মন্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই পাঁচজন এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটে গুন্ডামি করতে দেখেছি। গঙ্গারামপুরে রীতিমতো আমার সঙ্গে লড়াই হয়। এরা বালুরঘাট কেন্দ্রে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছি নির্বাচন কমিশনে। কারণ একাধিক মামলা রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তাঁদের ইতিহাস দেখুক কমিশন। সুকান্তর অভিযোগ প্রসঙ্গে মৃণাল বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি নিয়ে জোর করে বুথ জ্যাম করার চেষ্টা করেছিলেন। তৃণমূল তা প্রতিরোধ করে। রাজনীতি করতে গিয়ে মামলা হয়েছে আমার নামে। আমরা থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় যখন বলছেন, এবার আমরাও একাধিক মামলা থাকার জন্য যাতে তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল হয়, সেটা নির্বাচন কমিশনে জানাবো।
এদিকে আজ, বৃহস্পতিবার হরিরামপুরে মুখ্যমন্ত্রী সভা ঘিরে নির্বাচন বিধি ভঙ্গের অভিযোগও করেছেন সুকান্ত। এদিন জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে জেলা বিজেপির তরফে লিখিত অভিযোগ করা হয়। পদ্মপার্টির অভিযোগ, হরিরামপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলের ১০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতাল। নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী জরুরি পরিষেবার স্থানের পাশে মিটিং, মিছিল করা যায় না বলে চিঠিতে জানিয়েছেন সুকান্ত। যদিও জেলা বিজেপির সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর যেখানে সভা মঞ্চ, তার থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে রয়েছে হাসপাতাল। হাসপাতালের দিকে কোনও মাইক থাকবে না। প্রসূতি ও রোগীদের যাতে সমস্যা না হয়, সে বিষয়টি নজরে রাখা হবে। মুখ্যমন্ত্রী আসছেন বলে ভয় পাচ্ছেন সুকান্তবাবু। সবটাই নিয়ম অনুযায়ী হচ্ছে।