সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
প্রার্থী ঘোষণার পর প্রথম ধাপে দু’দিনে কালিম্পং জেলায় প্রচারপর্ব শেষ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। এরপরই পাহাড়ে প্রচারের দায়িত্ব ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (বিজিপিএম) সভাপতি অনীত থাপার হাতে দিয়ে গোপাল লামা সমতলে নামেন। নির্বাচনের আগে ফের তিনি চারদিনের প্রচারে পাহাড়ে যাবেন। এই দফায় চারদিনে তিনি দার্জিলিং ও কার্শিয়াং বিধানসভা এলাকায় প্রচার করবেন।
গোপাল লামা প্রথম ধাপে কালিম্পং প্রচারে গিয়ে বিভিন্ন জনজাতির সঙ্গে উন্নয়নের নিরিখে একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন। বিভিন্ন জনজাতির দাবির সমর্থনে রাজ্য সরকার পাহাড়জুড়ে যে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন, তারও ফিরিস্তি দিয়ে এসেছেন প্রাক্তন এই আমলা। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐতিহাসিক পদযাত্রায় তিনি অংশ নেন।
প্রার্থী গোপাল লামা বলেন, রবিবার রাতে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ হয়। সেই ইস্তাহারে পাহাড়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা নেই। ওই দলের ইস্তাহার প্রকাশের পর বিজেপির প্রতি মানুষের যে আস্থা ছিল, সেটাও তলানিতে। এদিন রাতেই পাহাড়ের বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতারা আমার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। পাহাড়ে গিয়ে মানুষের সমস্যা নিয়ে অনীত থাপার সঙ্গে কথা বলব। পাহাড়ের জন্য রাজ্য যে উন্নয়ন করেছে, তা মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে।
দার্জিলিং আসনে ভোটের প্রচার শেষ ২৪ এপ্রিল। তৃণমূল প্রার্থী দার্জিলিংয়ে প্রচারে যাবেন ১৭ তারিখ। তিনি ২০ তারিখ বিকেলে ফের সমতলে ফিরবেন। এই চারদিন তিনি দার্জিলিং ও কার্শিয়াং বিধানসভা এলাকায় প্রচার করবেন। চারদিনের এই প্রচারপর্বে তৃণমূল প্রার্থী পাহাড়ের বেশকিছু গ্রামে প্রচারে যাবেন।
দলের ইস্তাহার প্রসঙ্গে দার্জিলিং পার্বত্য বিজেপির সভাপতি কল্যাণ দেওয়ান বলেন, আমাদের ইস্তাহার নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর মাথাব্যথার কোনও কারণ থাকতে পারে না। আমাদের দলের বিষয় আমরা বুঝব। আমাদের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব বিষয়টি দেখছে।