সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
এদিন ময়নাগুড়ির জর্দা নদীর পাড়ের জনসভা থেকে একদিকে যেমন তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করেন, তেমনই রাজ্যে সিপিএম কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও সরব হন। বলেন, দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোট হলেও এখানে সিপিএম ও কংগ্রেস বিজেপিকে ভোট দেয়। একমাত্র তৃণমূলই এখানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে। বিজেপি অসভ্যতা করছে। কয়েকদিন আগে বিজেপি আমার গাড়ি লক্ষ্য করে কটূক্তি করে। জিভ টেনে নিতে পারতাম। কিন্তু আমরা মোদি, অমিত শাহ নই। ওরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভিডিও বানিয়ে গুজব রটায়। মানুষের উদ্দেশ্যে তাঁর পরামর্শ, চোখে না দেখে কোনও কিছু বিশ্বাস করবেন না।
উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ২০১৪ সালে বিজেপি বলেছিল ১৫ লাখ টাকা করে দেবে, কেউ সেই টাকা পেয়েছেন?
সমুদ্র গর্জনে উত্তর আসে, না, টাকা পাইনি। উত্তরবঙ্গের মানুষের সাধাসিধে মানসিকতার প্রশংসা করে মমতা বলেন, ভোটের সময় টাকার বিনিময়ে ভোট কেনার চেষ্টা করবে বিজেপি, সেই অভিসন্ধি সফল হতে দেবেন না। একটি ভোটও বিজেপিকে দেবেন না। বিগত লোকসভায় বিজেপি জয়ী হলেও কাজ করেনি। কিন্তু আমরা ধূপগুড়ি মহকুমার দাবি পূরণ করেছি। বানারহাট, ক্রান্তি নতুন ব্লক তৈরি করে দিয়েছি। জলপাইগুড়ি ভেঙে আলিপুরদুয়ার জেলা আমরাই করে দিয়েছি। গজলডোবায় ভোরের আলো, জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ, দেবী চৌধুরানী এবং জল্পেশ মন্দির ও আশপাশের পরিকাঠামো উন্নয়নে পাঁচ কোটি টাকা রাজ্য সরকারই দিয়েছে।
এদিনের জনসভার কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির (অতুল গোষ্ঠী) সমর্থকরা বিশাল সংখ্যায় উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সভা মঞ্চে হাজির ছিলেন কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির নেতা অধীর রায়ও।