যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
যদিও তৃণমূলের দাবি মানতে রাজি নয় বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন, গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোট থেকে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে আমাদের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়বে। মূলত খড়িবাড়ি ব্লকে আমাদের পক্ষে একচেটিয়া ভোট হয়েছে। সুতরাং তৃণমূল জয়ের ব্যবধান কমানোর যে স্বপ্ন দেখছে, বাস্তবে তার কোনও প্রভাব পড়বে না।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ফাঁসিদেওয়া বিধানসভার দুই ব্লকে বিজেপি, তৃণমূলের থেকে প্রায় ৪৩ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল। অন্যদিকে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির লিড অনেকটাই কমে আসে। খড়িবাড়ি ব্লকে বিজেপি লিড পায় ২২ হাজার ভোটে। ফাঁসিদেওয়া ব্লকে তৃণমূল ১২০০ ভোট লিড নেয়। আবার ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফাঁসিদেওয়া বিধানসভার খড়িবাড়ি ব্লকের চারটি পঞ্চায়েত ও ফাঁসিদেওয়ার সাতটি পঞ্চায়েতেরই দখল নেয় তৃণমূল। এরমধ্যে খড়িবাড়ির বিন্নাবাড়ির পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির। যদিও ওই পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে।
এই বিধানসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৩। শতাংশের নিরিখে এবার লোকসভায় ভোট পড়েছে ৮১.৯২ শতাংশ। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, যে হারে ভোট পড়েছে তা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভোট। মহিলারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ায় ভোটের হার এত বেশি হয়েছে। ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল নেতা কাজল ঘোষ বলেন, আমাদের লক্ষ্য খড়িবাড়ি ব্লক। আমরা ওই ব্লকে এবার অনেক ভালো ফল করব। খড়িবাড়ি ব্লকে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও ফাঁসিদেওয়া দিয়ে সেই ব্যবধান পূরণ হয়ে যাবে। আর এই দুই ব্লক থেকে বিজেপির সঙ্গে আমাদের ব্যবধান কমলেই দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ের পথ অনেকটাই সুগম হবে।