বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
জেলা কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য এআইসিসির নির্দেশ অনুযায়ী ওয়াররুম তৈরি করে ভোটপ্রচারের কাজ চলছে। ওয়াররুম ইনচার্জের নেতৃত্বে বুথ স্তর থেকে প্রচার করছেন দলের নেতা-কর্মীরা। ফলে বড় নির্বাচনী সভা না হলেও প্রচার, জনসংযোগের কোনও ঘাটতি নেই। ইতিমধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ও সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ মালদহ উত্তরে সভা করে গিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আসার কথা রয়েছে। যদিও এখনও দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। ১ মে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ইমরান প্রতাপগড়ি মালদহ উত্তরে রোড শো করবেন।
জেলা তৃণমূলের দাবি, মালদহে দু’টি আসনেই কংগ্রেস প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা নেই বলেই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব প্রচারে আসছে না। বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই কংগ্রেস তৃণমূলের ভোট কাটার কাজ করছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, জেলায় তৃণমূলের থেকে প্রচারে কংগ্রেস পিছিয়ে আছে। কংগ্রেস বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। কংগ্রেস জেলায় তৃণমূলের ভোট কেটে বিজেপিকে জেতানোর পথ করার চেষ্টা করছে। কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা নেই, এটা তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছে। তাই কংগ্রেস হাইকমাণ্ড প্রচারে নেই।
যদিও জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, বিজেপির এজেন্ট হিসেবে তৃণমূল কাজ করছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতির রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অভাব বলেই তিনি একথা বলছেন। বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং আছে এটা একটা সাধারণ মানুষও জানে। বিজেপিকে কেন্দ্রে রুখতে হলে কংগ্রেসের হাত শক্ত করতে হবে। আমরা বাড়ি বাড়ি প্রচারে সেটা তুলে ধরছি।
মালদহ বরকত গনি খানের মাটি। জেলার মানুষ কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে। এআইসিসি’র নির্দেশে ওয়াররুমের মাধ্যমে দলের জোরদার প্রচার চলছে। জেলার দু’টি আসনেই কংগ্রেস জয়ী হবে। বিজেপির উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, কংগ্রেস কীভাবে প্রচার করবে সেটা তাদের বিষয়। বিজেপির কারও সঙ্গে সেটিং নেই। মালদহ উত্তরে তৃণমূল কোনও ফ্যাক্টর নয়। এখানে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের লড়াই হচ্ছে।