সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
হেলিকপ্টার দেখতে অনেকে সভাস্থল থেকে দূরে চলে যান। বাঁশের ব্যারিকেড টপকে মোদিকে দেখতে ‘ডি’ জোনের কাছে যেতে চাইছিলেন অনেকে। তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিস প্রশাসনের কালঘাম ছুটে যায়। তপন থেকে আসা বধূ সুপ্রিয়া বর্মন সঙ্গে এনেছিলেন ৮ বছরের পুত্রকে। ভিড়ের মাঝে সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে উদভ্রান্তের মতো ছুটে বেড়ালেন তিনি। একাধিকবার বিজেপির কার্যকর্তাদের কাছে গিয়ে অনুরোধ করেন, যেন মাইকে প্রচার করে হয় তাঁর ছেলে হারিয়ে গিয়েছে। যদি তাতে কেউ কর্ণপাত না করায় ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। একইভাবে হিলি থেকে আসা সুমন মালির ১১ বছরের ছেলে এদিন নিখোঁজ হয়। সভা শেষে তিনিও তাঁর ছেলেকে খুঁজে পাননি।
গঙ্গারামপুরের বেলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা দেবাশিষ হালদার মোদির ভাষণ শুনতে এসেছিলেন। ভিড়ের মধ্যে তাঁর পকেট কেটে ম্যানিব্যাগ চুরি হয়। এদিন প্রখর রোদ ও ভিড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। তাদের কোনও খোঁজ খবর পর্যন্ত বিজেপির নেতৃত্ব নেয়নি বলে অভিযোগ। স্বেচ্ছাসেবকরা পাশে না দাঁড়ানোয় অনেকে ক্ষুব্ধ।
সভা শেষ হলে দূরদূরান্ত থেকে আসা কর্মী, সমর্থকরা দলছুট হয়ে পড়েন। বুথ কমিটির সদস্যরা তাঁদের নিয়ে এলেও সভার শেষে খোঁজ নেওয়া হয়নি। চকভৃগু-তপন রাজ্য সড়কে কয়েক ঘণ্টা যানজটে স্তব্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়েন পুলিসের শীর্ষ কর্তারাও। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, যাদের অসুবিধা হয়েছে, তাঁদের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। জনসভায় যা লোক হয়েছে, তাতে তৃণমূলের লোকজনের ঘুম হবে না। রায়গঞ্জেও মোদির নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করে গরমে অসুস্থ বহু মানুষ। মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকেই দুরদূরান্ত থেকে সভাস্থলে আসতে থাকেন সাধারণ মানুষ। কঠোর নিরাপত্তার কারণে সভাস্থল থেকে বহু দূরে যানবাহন আটকে দেওয়া হয়। ফলে তীব্র গরমে অনেকটা পথ হেঁটে যেতে হয় কর্মী, সমর্থকদের। এদিকে সভাস্থলে পানীয় জলের পাউচের ব্যবস্থা করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম ছিল বলে অভিযোগ। ফলে তীব্র গরমে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে করে অনেকেই অসুস্থ বোধ করেন। তাঁদের দ্রুত সভাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে জল চেয়েও গরমের মধ্যে পর্যাপ্ত জল না পেয়ে অনেকেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন।