পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
ভোট ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই দার্জিলিং কেন্দ্রের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ঘুরপাক খাচ্ছে একটি শব্দ, ‘ভূমিপুত্র’। তৃণমূল ও বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর ওই শব্দ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কেউ ‘ভূমিপুত্র’ তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে সওয়াল করছেন। আবার কেউ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ইতিমধ্যেই ভোটের ময়দানে নির্দল হিসেবে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। তাঁর বক্তব্য, দল ভূমিপুত্রকে প্রার্থী না করায় তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে ভোটের ময়দানে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল ও ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (বিজিপিএম)।
বুধবার পাহাড়ে দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে ভোট প্রচার করার পর তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) বলেন, পাঁচ বছর এখানে পর্যটক হিসেবে ছিলেন বিস্তা। তিনি আসছেন, ঘুরছেন, আর দিল্লিতে গিয়েছেন। পাহাড়বাসীর জন্য কোনও কাজ করেননি। তাই বহিরাগত পর্যটক প্রার্থীকে হারাতেই ভূমিপুত্র গোপালবাবুকে প্রার্থী করেছি। যাঁকে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব মরশুমেই কাছে পাবেন।
বিজিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের বঞ্চিত করে বহিরাগতদের এখানে প্রার্থী করা হচ্ছে। যাঁরা পর্যটক হিসেবেই সময় কাটান। পাহাড় ও সমতলবাসীর আবেগকে গুরুত্ব দেন না। পর্যটকদের মতো এদিকে সেদিকে ঘুরে শুধু প্রতিশ্রুতির ফোয়ারা ছাড়েন। আখেরে কিছুই হয় না। এই রাজনীতির আমদানি করেছে বিজেপি। যা এবার খতম করতে হবে। বিজেপির একাংশও বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তাই তৃণমূল-বিজিপিএম জোটের ভূমিপুত্র প্রার্থীকে জেতানোর আর্জি সর্বত্র করা হয়েছে।
এদিকে, ভোটের ময়দানে এর পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। তারা তৃণমূল ও বিজিপিএমকে তীব্র আক্রমণ করেছে। বিজেপির পার্বত্য সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি কল্যাণ দেওয়ান বলেন, কার্শিয়াংয়ের বিধায়কের বক্তব্য ভিত্তিহীন। তিনি তৃণমূল ও বিজিপিএমের হাতে তামাক খেয়ে হাওয়া গরমের চেষ্টা করছেন। আর সংবিধান অনুসারে দেশের যেকোনও নাগরিক, যেকোনও লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হতেই পারেন। তার মানে সেই প্রার্থী বহিরাগত নন। তৃণমূল ও বিজিপিএম নিয়মকানুন না জেনেই ভোটারদের বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করছে।
বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ বিস্তা ভোটের ময়দানে নিজেকে ‘কর্মপুত্র’ হিসেবে তুলে ধরছেন। তিনি বলেন, পাঁচ বছরে এখানে প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করেছি। আর তৃণমূল কমিশন, কাটমানি খাওয়ার রাজনীতি করেছে। এজন্যই এবার নির্বাচনে হার বুঝতে পেরে ওরা উল্টোপাল্টা বকছে। এসবে লাভ হবে না। ‘কর্মপুত্র’ বনাম ‘কমিশনপুত্রর’ লড়াইয়ে শেষ হাসি ‘কর্মপুত্রই’ হাসবে।