পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
এই সিদ্ধান্তের ফলে নীহারবাবুর ক্ষমতা খর্ব করা হলো বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কারণ দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদক্ষেপ তিনি আর নিজের মর্জিমতো নিতে পারবেন না। অন্যদিকে, এদিনের বৈঠকে প্রাক্তন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী সহ কয়েকজন কাউন্সিলারের অনুপস্থিতি নিয়েও জল্পনা সৃষ্টি হয়। দলের নির্দেশ অমান্য করে বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ভালোভাবে দেখছে না বলে শাসকদল সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে রব্বানি সাহেব বলেন, কৃষ্ণেন্দুবাবু ব্যক্তিগত কারণে এদিনের বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। আমাকে তাঁর অসুবিধার কথা ফোনে জানিয়েছেন। আমরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করব।
উল্লেখ্য, ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সিংহভাগ তৃণমূল কাউন্সিলার সম্প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ তুলে তাঁরা সরব হন। ২৮ আগস্ট ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার (বাবলা) সহ ১৫ জন তৃণমূল কাউন্সিলার নীহারবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। পরদিন দুই সিআইসি সদস্য পদত্যাগ করলে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব যথেষ্ট চাপে পড়ে যায়। জেলা নেতৃত্ব দফায় দফায় কাউন্সিলারদের নিয়ে আলোচনায় বসেও কোনও সমাধানসূত্র বের করতে পারেনি। সমস্যা মেটাতে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কলকাতায় বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলারদের ডেকে পাঠান। তাঁর হস্তক্ষেপের পরেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। সপ্তাহ খানেক আগে ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পুরসভায় আস্থা ভোট ডাকার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া হয়। এই খবর পাওয়ামাত্র রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব নড়েচড়ে বসে। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে বাবলাবাবুর ফোনে কথা হয়। সুব্রতবাবুর আশ্বাসে শেষ পর্যন্ত বরফ গলে। তবে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি থেকে কাউন্সিলাররা সরে আসেননি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে সেই দাবিতে বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলাররা অনঢ় থাকেন। তাঁরা চেয়ারম্যানের আর্থিক ক্ষমতা খর্ব করার দাবিতেও সরব হন। নিজের মর্জিমতো নীহারবাবু যাতে কোনও সিদ্ধান্ত না নিতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য দলের কাছে কাউন্সিলাররা তদ্বির করেন। তখন জেলা নেতৃত্ব পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠনের আশ্বাস দেন। পুজোর আগেই ওই কমিটি গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিটিতে নীহারবাবু এবং বাবলাবাবুর থাকার বিষয়টি এদিনই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আর কারা এতে থাকবেন তা দু’-একদিনের মধ্যেই নেতৃত্ব স্থির করবে।
নীহারবাবু এদিন বলেন, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলারের (সিআইসি) ধাঁচে পাঁচ সদস্যর কমিটি গঠন করা হবে। আগেও আমি সিআইসিকে নিয়ে কাজ করেছি। ফলে এতে ক্ষমতা খর্ব হওয়ার কিছু নেই। কাউন্সিলারদের দাবিদাওয়া বা সমস্যার কথা কমিটির সামনে তুলে ধরা হবে। এরফলে আমার চাপ আরও কমবে। কাউন্সিলারদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য পুরমন্ত্রী লোক পাঠাচ্ছেন। তাঁদের সব রকমভাবে আমি সহযোগিতা করব। কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, বৈঠকে না যাওয়ার ব্যাপারে যা জানানোর দলকে জানিয়েছি।