বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমরা জেলাজুড়ে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছি। প্রচারের পাশাপাশি ডেঙ্গুর মশা দমনে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর তৎপরতার সাথে কাজ করছে। জেলায় ডেঙ্গুতে মৃত্যুর কোনও ঘটনা নেই।
এদিকে পুজোর আগে বালুরঘাট ব্লকে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা দিয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফে গ্রামে গ্রামে জঞ্জাল, জমা জল পরিষ্কার না করার কারণে এমনটা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এনিয়ে অবশ্য ব্লক প্রশাসনের তরফে দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বালুরঘাট পুরসভা কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে সতর্ক রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
বালুরঘাট সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,বর্তমানে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কয়েকশো রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত। এদিকে জ্বরের রোগীদের ভিড়ে হাসপাতালে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এক বেডে দুই-তিন জন করে থাকতে হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীদের সঙ্গেই অজানা জ্বরে আক্রান্তদেরও রাখা হচ্ছে। মহিলা ও পুরুষ উভয় ওয়ার্ডেই ঠাঁই নেই অবস্থা। যদিও পাশেই থাকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বহু বেড ফাঁকা পড়ে রয়েছে। কিন্তু রোগীদের সেখানে রেফার করা হচ্ছে না। যার ফলে বেড সমস্যায় রোগীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। মঙ্গলবার হাসপাতালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডের ৮২টি বেডে ১৩৬ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। ফিমেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডের ৮২ টি বেডে ১৭৪ জন ভর্তি ছিলেন। ফিমেল মেডিক্যালে কিছু রোগী বেড না পেয়ে মেঝেতে থাকছেন।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার বহিবির্ভাগেও রোগীদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। জ্বরের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই আতঙ্ক দূর করে ডেঙ্গু মশা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু মশার হাত থেকে বাঁচতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তা বাসিন্দাদের বোঝানো হচ্ছে। আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবেশ পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা, কোথাও জল জমতে না দেওয়ার বিষয়ে প্রচার করছেন। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তর তরফে শুধুমাত্র প্রচার করা হচ্ছে বলেও জেলাবাসীর অভিযোগ। মশা দমনে ব্লিচিং পাওডার, মশা মারার তেল স্প্রে করা সহ জঞ্জাল পরিষ্কারে কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যাচ্ছে না। বালুরঘাট শহরের পাশাপাশি ব্লক ও জেলাজুড়ে সন্ধ্যা হলেই মশার অত্যাচারের নাজেহাল হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। শহরের একাধিক ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে না। কোথাও জল জমে থাকলেও কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবে মশার উপদ্রব বেড়ে চললেও কার্যত নিশ্চুপ প্রশাসন।