পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
বুধবার দুর্গাপুরের একটি হোটেলে দলের জেলা সভাপতি নরেন চক্রবর্তী ও মুখপাত্র ভি শিবদাসন দাসুকে হঠাৎ ডেকে পাঠান মমতা। বুদবুদের সভাতেও দলনেত্রীকে দেখা যায় আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে। দু’টি ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা তৈরি হয়। সবারই কৌতূহল ছিল নরেন, মলয়কে কী বার্তা দিলেন দলনেত্রী? এদিন কর্মিসভায় সবার কৌতূহল মিটিয়ে দেন নরেন। সেখানে তিনি জানান, দিদি বলেছেন পশ্চিম বর্ধমানে নির্বাচন জমেনি। লজ্জায় আমার মাথাটা হেঁট হয়ে গিয়েছে। তিনি আসানসোলে শুধু জয় চাইছেন না, যে রেকর্ড ভোটে শত্রুঘ্ন সিনহা জিতেছিলেন, তার চেয়েও বেশি ভোটে জয় চাইছেন। তারপরেই তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘রাজ্য সভাপতি বৈঠক করতে এসেছেন। তাও দেখছি কিছু কাউন্সিলার, জেলা পরিষদ সদস্যরা অনুপস্থিত।’
কর্মিসভায় রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘গত ৪ মার্চ আপনাদের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আজ ২৫ এপ্রিল। এই দীর্ঘ সময়ে যেভাবে নির্বাচনী কাজ এগনোর কথা ছিল, তা কি হয়েছে?’ সুব্রতবাবুর সংযোজন, ‘উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ, তাই কুলটি বিধানসভা এলাকায় তাঁকে সাহায্য করার জন্য দলের পক্ষ থেকে ভি শিবদাসন দাসুকে বলা হয়েছে। আসানসোল দক্ষিণের পাশাপাশি কুলটির সংগঠনেও তিনি কাজ করবেন। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, হরেরাম সিং, সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি প্রমুখ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, সবার আগে আসানসোল লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী নিশ্চিত করে তৃণমূল। তারপর কিছু কর্মসূচি নেওয়া ছাড়া তেমন কোনও কাজ হয়নি। অথচ, প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা চলে। সেই সুযোগটাকেও সম্পূর্ণ ভাবে কাজে না লাগিয়ে তৃণমূল নির্বাচনকে হালকা ভাবে নেওয়া শুরু করে। এমনকী, বিজেপি প্রার্থী প্রচারে নেমে যাওয়ার পরও শাসক দলের অনেক নেতার টনক নড়েনি। তাই সঠিক সময়ে কড়া দাওয়াই নেত্রী দিয়েছেন বলে অভিজ্ঞ মহলের দাবি।
সদ্য গঠিত নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মলয় ঘটক বলেন, ‘১৫ দিন সময় এখনও হাতে রয়েছে। আগে দু’টি বর্ধমানের তিনটি আসনের জন্য একটি ২২ জনের কমিটি থাকলেও তার কোনও পদ ছিল না। তাই কে মিটিং ডাকবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। আমাদের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত।