পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
এসিপি(দুর্গাপুর) সুবীর রায় বলেন, দু’টি বাড়ির বেডরুমেই কয়েকদিন ধরে কেউ ঘুমোচ্ছিলেন না। অনেকেই এসি ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। একটি বাড়ি থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। পুরনো চুরির ঘটনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শনিবার গভীর রাতে দুষ্কৃতীর দল প্রথমে অধীরকুমার ঘোষের বাড়িতে হানা দেয়। অধীরবাবু দমকল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তাঁর স্ত্রী তিন বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। বাড়িতে ছেলে, বৌমা ও নাতির সঙ্গে থাকতেন। অধীরবাবুর বেডরুমে স্টিলের আলমারিতে তাঁর স্ত্রীর প্রায় ১৪ ভরি সোনার গয়না ও দেড় লক্ষ টাকা নগদ ছিল। ওই বেডরুমে দীর্ঘদিন ধরে অধীরবাবু একাই শুতেন। কিন্তু গত দু’দিন ধরে রাতে অতিরিক্ত গরম থেকে স্বস্তি পেতে অন্য একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। পরিবারের বাকিরা দোতলায় এসি ঘরে ঘুমোন। এই সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীর দল অধীরবাবুর বেডরুমের কাঠের জানলা ও লোহার গ্রিল ভেঙে ভিতরে ঢোকে। তারপর আলমারি ভেঙে লুটপাট করে। অধীরবাবু বলেন, জানলা ভেঙে বেডরুমে ঢুকে দরজাটা ভেতর থেকে লাগিয়ে দিয়েছিল। ভোরবেলায় বিষয়টি আমাদের নজরে পড়ে।
অধীরবাবুর পাশের বাড়িতে ভাড়া থাকেন তপনকুমার দাস। তিনি বিএসএনএল দপ্তরের প্রাক্তন কর্মী। তাঁর বেডরুমেও একটি স্টিলের আলমারি রয়েছে। তিনি ও তাঁর স্ত্রী দু’জনই ওই ঘরে শুতেন। তাঁদের ছেলে ভিনরাজ্যে কর্মরত। ১০দিন আগে বাড়ি ফিরেছেন। অতিরিক্ত গরম থাকায় ছেলেকে নিয়ে বেডরুম ছেড়ে অন্য একটি ঘরে এসি চালিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন ওই দম্পতি। সেই সুযোগে একই কায়দায় জানলা ভেঙে বেডরুমে চুরি করে দুষ্কৃতীরা। তপনবাবু বলেন, আমাদের বাড়ির চারদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মুখে কাপড় বাঁধা চারজন দুষ্কৃতী এসে জানলা ভেঙে ঢুকছে। প্রায় ৮ ভরি সোনার গয়না ও ১৬ হাজার টাকা, নতুন জামাকাপড় ও একটি হাতঘড়ি নিয়ে গিয়েছে। আমরা বেডরুমে ঘুমোচ্ছি না, সেটা কোনওভাবে দুষ্কৃতীদের জানা ছিল।
১০ বছর আগে ওই এলাকায় শিল্পপতি অমিত শর্মার বাড়িতে একই কায়দায় ডাকাতি হয়েছিল। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে যাওয়ায় দুষ্কৃতীর দল তাঁদের বেঁধে মারধর করে। ওই ঘটনার এখনও কিনারা হয়নি। তিন বছর আগে ওই অভিজাত এলাকায় দিনেদুপুরে এক চিকিৎসকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ভোটরে মরশুমে পাশাপাশি দু’টি বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।