পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
শুক্রবার তেহট্টের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন-বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়া মানেই আমাকে ভোট দেওয়া। কালীগঞ্জের জনসভা থেকে তারও জবাব দেন অভিষেক। তিনি বলেন, মহুয়া মৈত্রকে ভোট দিয়ে জেতানো মানে মোদিকে হারানো। দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। আর তাই এক দেশ এক ভোটের ফন্দি আঁটছে দিল্লি পার্টি। এর ফলে মানুষের ভোটদানের মৌলিক অধিকার হারিয়ে যাবে। বিজেপি আবার ক্ষমতায় এলে এটাই শেষ ভোট।
মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে অভিষেক আরও বলেন, ১৩ মে ঐতিহাসিক দিন। এই তারিখে সাধারণ মানুষকে ঠিক করতে হবে তারা বিজেপির হাতের পুতুল হতে চান নাকি সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করা মহুয়া মৈত্রকে চান। তিনি আরও বলেন, দিল্লিতে পরিবর্তনের সরকার গড়ে তোলার দায়ভার আপনাদেরই নিতে হবে। ৪ তারিখ ভোট বাক্স খুললেই বিজেপি নেতারা পদ্মফুলের জায়গায় চোখে সর্ষে ফুল দেখবে। এদের বিদায় আসন্ন।
সাত দফায় বিজেপির দম্ভ চূর্ণের হিসেব দিয়ে অভিষেক জানান, প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের মানুষ বিজেপির মাথা ভেঙেছে। দ্বিতীয় দফায় বালুরঘাট-রায়গঞ্জ বিজেপির ঘাড় ভেঙেছে। তৃতীয় দফায় মালদহ-মুর্শিদাবাদ বিজেপির মেরুদণ্ড ভাঙবে। চতুর্থ দফায় কৃষ্ণনগর বিজেপির কোমর ভাঙবে। পঞ্চম দফায় গেরুয়া শিবিরের হাঁটু ভাঙবে। ষষ্ঠ দফায় জঙ্গলমহল-মেদিনীপুর বিজেপির পা ভাঙবে। আর সপ্তম দফায় ডায়মণ্ডহারবারে বিজেপির ঔদ্ধত্য, দম্ভ আর অহঙ্কার ভেঙে চুরমার করে দেব।
মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে অভিষেক আরও বলেন, কোনওরকম তদন্ত ছাড়াই মহুয়া মৈত্রের সদস্যপদ এই স্বৈরতান্ত্রিক সরকার খারিজ করে দিয়েছে। যারা মানুষকে রিমোট কন্ট্রোলে পরিচালিত করতে চায় তাদের ভোট বাক্সে জবাব দিয়ে বাংলা ছাড়া করতে হবে। যারা মানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধিকে অনৈতিকভাবে বহিষ্কার করতে পারে তাদের উচিত শিক্ষা দিতে হবে।
পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় প্রচারে গেলে তিনটি প্রশ্ন করতে বলেন সাধারণ মানুষকে। অভিষেক বলেন, বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় প্রচারে গেলে তিনটে প্রশ্ন করুন। প্রথম, বিজেপি যাকে রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করে বাংলায় পাঠিয়েছেন, তিনি রাজ্যপালের পদ কলঙ্কিত করেছেন। শ্লীলতাহানির অভিযোগের পরেই রাজ্যপাল রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এনিয়ে বিজেপির অবস্থান কী? দ্বিতীয়, সন্দেশখালির ষড়যন্ত্র ফাঁস হওয়ার পর বিজেপি কী বলছে? তৃতীয়, বিজেপি ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে বলছে। বাংলার এত মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। এই বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে বিজেপি কী বলতে চায়?
শেষ প্রশ্নের উত্তর অবশ্য নিজেই দেন অভিষেক। তিনি বলেন, যতদিন বাংলায় মা মাটির সরকার রয়েছে, ততদিন কেউ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করার দুঃসাহস দেখাতে পারবে না। এটা আমাদের গ্যারান্টি।