বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’মাস আগে পূর্তদপ্তর তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা চালু করার জন্য জল সরবরাহের পাইপ লাইন বসানো সহ বিভিন্ন কাজ করেছে। কিন্তু তারপর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও এখনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা চালু করা হয়নি। হোসপাইপ বক্সের পাইপ লাগানোর পিতলের যন্ত্রপাতিও মাঝখানে চুরি হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। বর্তমানে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে তা সামলানোর জন্য একমাত্র ভরসা ওই ছোট ফায়ার এক্সটিংগুইসারগুলিই।
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তৈরির প্রায় নব্বই শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেলেও এখনও তা সম্পূর্ণ করে চালু না করায় প্রশ্ন উঠছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর আত্মীয়রা আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা দ্রুত চালু করার দাবি তুলেছেন।
তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের সুপার মৃণালকান্তি অধিকারী বলেন, হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য বসানো পাইপলাইন এবং হোসপাইপ বক্স পরীক্ষাও করা হয়েছে। কিন্তু পূর্তদপ্তর সেটি এখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেনি। কিছুদিন আগে হোসপাইপ বক্সের পিতলের ছোট যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে গিয়েছে। মাঝেমাঝেই পাইপলাইনগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।
কোচবিহার জেলা পূর্ত দপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার নিমাইচন্দ্র পাল বলেন, চুরি হয়ে যাওয়ার পর আবার যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছিল। তাও কেন তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা চালু করা যাচ্ছে না, তা আমি খোঁজ নিয়ে দেখব। সেটি চালু করার জন্য শীঘ্রই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে তুফানগঞ্জ মহকুমা অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্রের স্টেশন আধিকারিক শিবানন্দ বর্মন বলেন, হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার কাজটি পূর্তদপ্তরের তরফে করা হয়েছে। তাই এব্যাপারে আমি বিশেষ কিছু জানি না। তবে চালু করার সময় দরকার হলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
তুফানগঞ্জ মহকুমার একমাত্র এই হাসপাতালটি রয়েছে শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এই হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য গোটা তুফানগঞ্জ মহকুমার বাসিন্দাদের পাশাপাশি প্রতিবেশী অসম রাজ্যের বাসিন্দারাও নির্ভরশীল। প্রতিবেশী রাজ্য অসমের ধুবড়ি এবং কোকরাঝাড় এলাকার অনেক বাসিন্দা তাঁদের চিকিৎসার জন্য প্রায় প্রতিদিনই তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে এসে ভিড় জমান। তাই দ্রুত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাটি চালু করা না হলে আপৎকালীন অবস্থায় পরিষেবা দিতে গিয়ে তুফানগঞ্জ মহকুমার দমকল কেন্দ্রের কর্মীদেরও হিমশিম খেতে হবে বলে রোগীর পরিজনরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।