বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রবিবার ট্রেনে দিল্লি থেকে কোচবিহার ফেরার সময়ে টেলিফোনে প্রদীপবাবু বলেন, আমি ডায়নামিক টিচার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার শনিবার গ্রহণ করেছি। এই পুরস্কার পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আন্তর্জাতিক মানের ওই সেমিনারে দেশ বিদেশের নামজাদা শিক্ষক ও শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন। আমার আলোচনার বিষয়বস্তু সকলকে মুগ্ধ করেছে। ওই সেমিনার মঞ্চেই আমাকে পুরস্কৃত করা হয়।
বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ওই অনুষ্ঠানে শামিল হয়েছিল। একটি বেসরকারি সংস্থা আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ভারতের পাশাপাশি স্পেন, আর্জেন্টিনা, ঘানা, সোমালিয়া সহ বহু দেশের রাষ্ট্রদূত, শিক্ষক ও শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন। প্রদীপবাবুর জানিয়েছেন, মূল অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল চুবুরু, স্পেনের শিক্ষাবিদ মারিয়া লোপেজ, ঘানার হাইকমিশনের আরন নুয়ামা সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। উন্নয়নশীল দেশগুলির প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলগুলিকে কীভাবে উৎকর্ষতার দিকে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়টিকেই সামনে রেখেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখা হয়েছিল।
কয়েক মাস আগে সেমিনারের আয়োজকরা প্রদীপবাবুর কাজ ও চিন্তাভাবনার বিষয়গুলি সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিল। সম্প্রতি অনলাইনের মাধ্যমে তাঁর একটি ইন্টারভিউও নেওয়া হয়। এরপরেই ওই অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণ করার জন্য তাঁর কাছে ডাক আসে। প্রদীপবাবু কোচবিহারের এবিএন শীল গভর্নমেন্ট কলেজে আংশিক সময়ের শিক্ষকতার কাজে যোগ দিয়ে নিজের শিক্ষকতার জীবন শুরু করেন। পরে মুগাভোগ হাইস্কুলের শিক্ষকতার কাজে যোগ দেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি ওই স্কুলেরই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে ওই প্রত্যন্ত গ্রামীণ স্কুলটিকে নানা বিষয়ে নতুন নতুন দিশা দেখান। স্বাস্থ্যবিধি, পরিবেশ ভাবনা, কর্মসংস্থানের মতো নানা বিষয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছেন। ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করে নতুন নতুন পথ দেখানো, সচেতনতার মাধ্যমে জনমত গড়ে তোলা প্রভৃতি বিষয়ে তিনি অগ্রণী ভূমিকা নেন। ইংরেজির শিক্ষক প্রদীপবাবুর এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে খুশি কোচবিহারের শিক্ষা মহল।