বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) ইন্দ্রা মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, এদিন বিকেলে ওই সংস্থায় ঢুকে তিন-চার জন দুষ্কৃতী লুটপাট চালিয়েছে বলে খবর মেলে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
শহরের ব্যস্ততম এলাকাগুলির মধ্যে বর্ধমান রোডের ঝঙ্কার মড় অন্যতম। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মোড়ের একটি বহুতল ভবনের দোতালায় ওই সংস্থা অবস্থিত। অন্যান্য দিনের মতো এদিন বিকেল সাড়ে ৩টের পর সেই সংস্থার অফিসে গ্রাহকদের ভিড় কিছুটা কম ছিল। সেই সময় তিন-চারজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী সেই অফিসে হানা দেয়। বন্দুক দেখিয়ে সেখানে লুটপাট শুরু করে তারা। এনিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দুষ্কৃতীরা সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী ও এককর্মীকে বেধড়ক মারধর করে। তারপর সংস্থার লকার থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার সোনার গয়না ও নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। ৩টে ৪৫ মিনিট নাগাদ দুষ্কৃতীরা অপারেশন শেষ করে মোটর বাইকে চেপে চম্পট দেয়। সংস্থার কর্মীদের একাংশ বলেন, বন্দুক দেখানোর পাশাপাশি কর্মীদের মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা লুটপাট চালায়। দুষ্কৃতীরা হিন্দিতে কথা বলছিল।
এই খবর চাউর হতেই শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। যে ভবনে সংশ্লিষ্ট ঋণদান সংস্থা অবস্থিত সেখানে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক সহ কিছু দোকান ও বেসরকারি সংস্থার অফিস রয়েছে। পুলিস ও স্থানীয় বাসিন্দারা সেই ভবনের সামনে ভিড় করেন। শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) বলেন, ওই সংস্থার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে জানা গিয়েছে, অপারেশনের সঙ্গে তিন-চারজন দুষ্কৃতী জড়িত রয়েছে। সংস্থার কর্মীরা বন্দুক দেখানোর কথা বললেও সিসিটিভির ফুটেজে দুষ্কৃতীদের হাতে কোনও বন্দুক দেখা যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার ম্যানেজার ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ভবনের অন্যান্য তলায় থাকা অন্য সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। শীঘ্রই ঘটনার কিনারা করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
প্রসঙ্গত, আর কিছুদিন পরই বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে শহরের সুভাষপল্লিতে এক বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে ঢুকে সোনার গয়না লুট করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এদিন বিকেলে বেসরকারি ঋণদান সংস্থায় এমন ঘটনায় শহরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। শহরের নাগরিকদের একাংশের অভিযোগ, শহরে ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের আনাগোনা বাড়লেও পুলিস সক্রিয় হয়নি। পুলিসের নজরদারির অভাবেই চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনাগুলি ঘটছে। পুলিস নড়েচড়ে না বসলে পুজোর মুখে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য আরও বাড়বে। পুলিসের এক অফিসার অবশ্য বলেন, শহরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এদিন ওই সংস্থার লুটের ঘটনার পর বিভিন্ন থানার পুলিস অফিসারদের সতর্ক করা হয়েছে। জাতীয় সড়ক সহ বিভিন্ন রাস্তায় তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি ওই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের ব্যবহৃত একটি স্কুটার চিহ্নিত করা হয়েছে। কাজেই পুলিসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়।