বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
চকভৃগুতে অজানা জ্বরের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় স্বাস্থ্যদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন। অভিযোগ, স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে প্রচার করা হলেও মশা দমনে কোনও ভূমিকা প্রশাসনের তরফে নেওয়া হচ্ছে না। মশার উপদ্রব বেড়ে যাচ্ছে। প্রচারের পাশাপাশি মশা দমনে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। কেন এলাকায় মশা দমনে স্বাস্থ্যদপ্তর কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না তা নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি ক্ষোভ ছড়িয়েছে। যদিও স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, চকভৃগু এলাকায় জোরকদমে প্রচার চালানো হচ্ছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, জেলায় এপর্যন্ত ৬২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। অধিকাংশের বাড়িতে চিকিৎসা চলেছে। আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা করেছি। ভিনরাজ্য থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অনেকে জেলায় আসছেন। আমাদের জেলায় সেভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপ নেই। আক্রান্তের অধিকাংশই ভিনরাজ্য থেকে আসা।
এদিকে অজানা জ্বরের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় চকভৃগু সহ বালুরঘাট শহরবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আক্রান্তদের অনেকের আবার ডেঙ্গুর লক্ষণ রয়েছে। বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর হাসপাতালে কয়েকশো অজানা জ্বরের রোগী ভর্তি রয়েছেন। এক বেডে দুই জন করে থাকতে হচ্ছে। হাসপাতালে রীতিমতো জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জায়গা দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। বহিবির্ভাগেও রোগীদের লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে ডেঙ্গুর আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু মশার হাত থেকে বাঁচতে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে তা বাসিন্দাদের বোঝানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জমা জল ফেলে দেওয়া, কোথাও যাতে জল না জমে থাকে সেগুলি নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। যদিও দপ্তরের তরফে শুধুমাত্র প্রচার করা হচ্ছে বলেও জেলাবাসীর অভিযোগ। মশা দমনে ব্লিচিং পাউডার, মশা মারার তেল স্প্রে, জঞ্জাল পরিষ্কার কিছুই করতে দেখা যাচ্ছে না। বালুরঘাট শহরের পাশাপাশি ব্লক ও জেলাজুড়ে সন্ধ্যা হলেই মশার অত্যাচারে বাসিন্দারা নাজেহাল হয়ে পড়ছেন। শহরের একাধিক ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে না। জল জমে থাকলেও সেগুলি সংস্কারের কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবে মশার উপদ্রব বেড়ে চললেও প্রশাসন কার্যত নিশ্চুপ।