বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এই নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, সেতুটি এখনও নির্মীয়মাণ। যান চলাচল হলে বাইক আরোহীরাও যেকোনও সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারেন। অন্যদিকে, সেতুটির বিভিন্ন অংশের ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে সরকারি নোটিস দিয়ে ভূতনি সেতুর উপরে সবরকম যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় রবিবার বিক্ষোভ দেখান ভূতনিবাসীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। এখন অনায়াসে বাইক বা সাইকেল চলতেই পারে এই সেতুর উপর দিয়ে। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের একাংশের প্ররোচনাতেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জেলাপরিষদের সভাধিপতি গৌর মণ্ডল কাউকে কিছু না জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের ভূতনি সেতুর অনাড়ম্বর উদ্বোধন করেন ১৫ আগস্ট। সেই উদ্বোধন নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয় প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে। গৌরবাবু দাবি করেন, ফিতে কেটে ভূতনি সেতুতে বাইক, সাইকেল ইত্যাদি যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই গৌরবাবুকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কঠোর ভাষায় সতর্ক করেন বলে তৃণমূল সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। এই সেতুর ওই উদ্বোধন রাজ্যের শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বও অনুমোদন করেনি বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। এবার ওই উদ্বোধন নাকচ করে দিল পূর্তদপ্তরও।
এদিকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়েই তরজা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অভ্যন্তরে। প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের শিবিরের দাবি, ভূতনি সেতুর উপরে যান চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞাই প্রমাণ করে দিল যে দল ও প্রশাসন সভাধিপতির হাতে ওই উদ্বোধন মানছে না। পাল্টা মুখ খুলেছেন গৌরবাবুও। তিনি বলেন, ভূতনি সেতুর উপর দিয়ে যেকোনও ধরণের যান চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা শুনেছি। যাঁরা কোনও কারণ ছাড়াই আমাকে অপদস্থ করার ছক কষেছেন, সাধারণ মানুষই তাঁদের জবাব দেবেন। জানা গিয়েছে, ভূতনি সেতুর বিতর্কিত উদ্বোধন নিয়ে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব কথা বলেছে দলের মালদহ জেলার সভানেত্রী মৌসম নুরের সঙ্গেও। মৌসম অবশ্য দলকে জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁরও জানা ছিল না।