বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জেলায় গত এক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক দলবদলের উল্টো দিকে এই স্রোত বইতে শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারও রাজনৈতিক দলবদলের উল্টো দিকে বয়ে যাওয়া এই স্রোত অব্যাহত ছিল। এদিন আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের তুরতুরি পঞ্চায়েতের বিজেপি’র নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য সরস্বতী মজুমদার (দাস) তাঁর শতাধিক অনুগামী নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। এদিন শহরে তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিসে সরস্বতীদেবীর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী। সেখানে বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী শীলা দাস সরকার ও দলের আলিপুরদুয়ার-২ ব্লক সভাপতি দেবজিৎ সরকার উপস্থিত ছিলেন।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে সরস্বতীদেবী বলেন, রাজ্যে ক্ষমতায় না আসতেই বিজেপি’র মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে জনপ্রতিনিধি হিসাবে এলাকায় কাজ করা যাচ্ছে না। তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম।
তুরতুরি পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ১১। ওই পঞ্চায়েতে বিজেপি’র সদস্য সংখ্যা ছিল চার জন। তার মধ্যে সরস্বতীদেবী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তুরতুরি পঞ্চায়েতে বিজেপি’র সদস্য সংখ্যা বর্তমানে কমে গিয়ে তিন জনে দাঁড়াল।
বুধবার রাতে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকেরই মহাকালগুড়ি পঞ্চায়েতের উত্তর মহাকালগুড়ি গ্রামেও দেড় শতাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সুজিত মুন্ডার নেতৃত্বে বুধবার রাতে এই দলবদল হয়। কুমারগ্রাম ব্লকেও রাজনৈতিক দলবদলের এই উল্টো দিকে স্রোত বওয়া শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে কুমারগ্রামের চ্যাংমারি পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা মহসিনা ঈশ্বরারী দল ছেড়ে বিজেপি’তে চলে গিয়েছিলেন। তিন দিন আগে বিজেপি ছেড়ে মহসিনা ফের পুরনো দলেই ফিরে এসেছেন।
এদিকে, তৃণমূলের ২১ জলুাইয়ের কর্মসূচি মিটে গেলে জেলাজুড়ে বিজেপি’র অনেক পঞ্চায়েত সদস্য ও কর্মী সমর্থক শাসক দলে যোগ দিতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে। এরমধ্যে ফালাকাটা ব্লকেই বিজেপি’র ১০ জনের মতো পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। তৃণমূলের ফালাকাটা ব্লক কার্যকরী সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য সন্তোষ বর্মন বলেন, দলের ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচির পরেই ব্লকে বিজেপি’র ১০ জন পঞ্চায়েত সদস্য আমাদের দলে যোগ দিচ্ছে। বিজেপি’র ওই ১০ জন পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আমরা এখনই ওই ১০ জন বিজেপি সদস্যার নাম প্রকাশ্যে আনছি না।
কলকাতায় তৃণমূলের দলীয় ওই কর্মসূচির পর মাদারিহাট ব্লকেও বিজেপি’র মধ্যে ভাঙন ধরতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। সেখানেও গেরুয়া শিবিরের একটা অংশের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের কথাবার্তা চলছে। তৃণমূলের মাদারিহাট ব্লক কার্যকরী সভাপতি মান্না জৈন বলেন, অপেক্ষা করুন। সময়মতো মাদারিহাটেও গেরুয়া শিবিরের ভাঙন দেখতে পাওয়া যাবে।
বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা অবশ্য বলেন, দলবদলের উল্টো দিকে স্রোত বইছে না। শাসক দল ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে এসব করছে। আমাদের দলের জনপ্রতিনিধিদের বাধ্য করা হচ্ছে তৃণমূলে যেতে। সময় হলে দেখবেন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। সরস্বতীদেবীর দলত্যাগে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।