বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, রোগী ও তাঁদের পরিজনদের গত সাত দিনে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। যদিও আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালিয়েছিলাম। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু এদিন থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আমরাও যথেষ্ট খুশি। আমরা চাই না চিকিৎসা পরিষেবায় কোনও ব্যঘাত ঘটুক। তবে রোগীর পরিজনদেরও কিছুটা সহ্যশীল হতে হবে। অভিযোগ থাকলে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারেন। কিন্তু চিকিৎসকদের মারধর করলে পরিস্থিতি প্রতিকূলে যেতে তো আর সময় লাগে না।
কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন গোটা রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানিয়েছিলেন সিনিয়র চিকৎসকরাও। স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছিল চিকিৎসা পরিষেবা। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সাত দিন পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। নকলশালবাড়ির বাসিন্দা মণীন্দ্র সরকার বলেন, আমি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। শেষ ছয়দিন ধরে হাসপাতালে এসে ফিরে যেতে হয়েছে। চিকিৎসকরা আন্দোলনে শামিল ছিলেন। আউটডোর থেকে শুরু করে ইমার্জেন্সি বন্ধ ছিল। তাই সমস্যা আমার একার নয় সকলেরই হয়েছে। সকলেই চরম দুর্ভোগে শিকার হয়েছিলেন। আমি চিকিৎসকদের কাছে আর্জি জানাব যাতে তাঁরা আগামীতে এভাবে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ না থাকে। জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি এবং সিনয়র চিকিৎসকদের সমর্থনের জেরে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছিল। একদিকে যেমন বিনা চিকিৎসায় ফিরে যেতে হচ্ছিল রোগীদের অন্যদিকে সঠিক চিকৎসা পরিষেবা না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছে অনেক রোগীই। সব মিলিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে। যদিও সাত দিন বাদে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই মঙ্গলবার সকাল থেকেই রোগীদের ভিড় উপচে পড়ল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি থেকে শুরু করে আউটডোরে। অন্যদিকে, বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে আসা রোগীদের ভিড় উপচে পড়ে সার্জিক্যাল ও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলিতে। স্বাভাবিকভাবেই সাত দিন পর রোগীদের ঢল নামায় পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্তৃপক্ষকে বেগ পেতে হচ্ছে। যদিও জুনিয়র থেকে শুরু করে সিনিয়র চিকিৎসকরা যথাসাধ্য পরিষেবা দিচ্ছেন।