বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রশাসন জানিয়েছে, ২লক্ষ ৩ হাজার ৮৮৯ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ রয়েছেন এক লক্ষ ৭২৫৫ নি ও মহিলা রয়েছেন ৯৬ হাজার ৬৩৪ জন। ২১৭ টি বুথে ভোট প্রহন চলবে সকাল ৭ টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ার জন্য ৮৬৮ জন ভোট কর্মী আছেন। ৩৯টি বুথকে ক্রিটিক্যাল বুথ হিসেবে ধরা হয়েছে। কোনও মডেল বুথ এবং মহিলা পোলিং বুথ নেই। প্রতিটি বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
প্রতিবুথে কেন্দ্রেীয় বাহিনী থাকায় বিজেপি প্রার্থী সন্ত্রাসের আশঙ্কা করছে না। যদিও সিপিএম ও কংগ্রেস সন্ত্রাসের আশঙ্কা করছে। শাসক দলের দাবি এলাকায় শান্তির পরিবেশ আছে। কোথাও সন্ত্রাসের আবহাওয়া নেই।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি আগে এই কেন্দ্র থেকে নয়বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নিজেকে ইসলামপুরের পাহারাদার বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ভোটে কোনও সন্ত্রাস হবেই না। আমি একজন শান্তিকামী নেতা। কোথাও এমন ঘটনা ঘটলে আমি নিজেই তার প্রতিবাদ করব। বিপুল ভোটে জয়ী হব। বিরোধীদের তো দেখাই যাচ্ছে না। বিজেপি প্রার্থী সৌম্যরূপ মণ্ডল বলেন, সন্ত্রাসের আশঙ্কা ছিল। তাই প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছিলাম। প্রশাসন প্রতি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছে। তাই সন্ত্রাসের আশঙ্কা আমরা করছি না। সিপিএম প্রার্থী স্বপন গুহ নিয়োগী বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে মনে হচ্ছে এলাকায় সন্ত্রাস হতে পারে। আমরা এমনটিই আশঙ্কা করছি। ডিমটি, রামগঞ্জ ও মাটিকুন্ডা এলাকায় সন্ত্রাসের আশঙ্কা আছে। শান্তিপূর্ণ ভোট হলে মানুষ আমাদের বিপুল ভোট দেবে। কংগ্রেস প্রর্থী মুজাফ্ফর হুসেন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পরে গণতন্ত্র শেষ হয়ে গিয়েছে। আগডিমটি, মাটিকুন্ডা ও রামগঞ্জ এলাকায় সন্ত্রাসের আশঙ্কা আছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে থাকায় গ্রাম ফাঁকা থাকবে। শাসক দল গ্রামে সন্ত্রাস করতে পারে। সেদিকে প্রশাসনকে নজর দিতে হবে। ইন্ডিয়ান ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টি’র প্রার্থী ইসলামপুরের বাসিন্দা মহম্মদ তবিবুর রহমানকে অবশ্য প্রচারে তেমন দেখা যায়নি। স্থানীয়রা বলেছে চার প্রধান দলের মধ্যেই লড়াই হচ্ছে। তাদের মধ্যে তৃণমূল প্রার্থী আবদুল করিম চৌধুরী নিজেই হেভিওয়েট প্রার্থী। দীর্ঘদিন সক্রিয় রাজনীতিতে না থাকার পরে এবার তিনি প্রত্যাবর্তন করেছেন। আবারও তিনি বিধায়ক হচ্ছেন বলেই করিম সাহেবের দাবি। এদিকে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের হাওয়ায় বিজেপি এবার ভালো ফলের আশা করছে। হাল ছেড়ে নেই কংগ্রেস, সিপিএমও। সিপিএমের দাবি এই লোকসভা আসনটি তাদের ছিল এখানে তারা ভালো ফল করবে। কংগ্রেসের দাবি, এই বিধানসভা আসনটি তাদের দলেরই ছিল। তাদেরই থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলির এই দাবি, পাল্টা দাবির মধ্যেই মানুষ আজ বেছে নেবেন আগামীর নেতাকে।