শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
ইজ অব ডুয়িং বিজনেস অর্থাৎ ব্যবসা করার আদর্শ দেশের তালিকায় একলাফে ৭৫ ধাপ এগিয়ে ৭৭তম স্থানাধিকার করেছে ভারত। তাঁর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন আর্থিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপের জন্যই এই অগ্রগতি। এদিন সেকথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘আমি আমার টিমকে আরও পরিশ্রম করতে বলেছি। যাতে আগামী বছর ভারত বিশ্ব র্যা ঙ্কিংয়ে প্রথম ৫০-এর মধ্যে থাকে। ভারতে ব্যবসা করা আরও সহজ হয়ে গিয়েছে।’
২০১৪ সালে দিল্লির মসনদ দখল করার পর থেকেই দেশে ব্যবসা বা বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরির উপর জোর দিয়েছেন গুজরাতের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। নোট বাতিল, পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু করা সহ একাধিক আর্থিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। অনলাইন তথা ডিজিটাল লেনদেনে দেশে জোয়ার এসেছে। দেশের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে বলতে গিয়ে অতীতের সরকারগুলির সঙ্গে তাঁর প্রশাসনের তুলনা টানেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত যত সরকার এসেছে, তার মধ্যে এই চার বছরে তাঁর সরকারের কর্মকালে ভারতের গড় জিডিপির হার সবথেকে বেশি। চারবছর ধরে দেশের গড় জিডিপি ৭.৩ শতাংশের আশপাশে রয়েছে।’ পাশাপাশি, তাঁর রাজত্বকালে দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বনিম্ন (৪.৬ শতাংশ) বলেও দাবি করেছেন তিনি।
আর্থিক সংস্কারমূলক নীতির জন্য গত চার বছরে ২৬ হাজার ৩০০ কোটি ডলার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে বলেও এদিন দাবি করেন মোদি। বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে কর্মসংস্থান নিয়েও জবাব দিয়েছেন তিনি। দেশের তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত পরিকাঠামোর সঙ্গে কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। আর দুটোই বিনিয়োগের সঙ্গে সম্পর্কিত। সেকারণেই উৎপাদন ও পরিকাঠামোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’