ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
মুম্বই হামলার সঙ্গে রাজারামের যোগসূত্র ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লালবাজারের তরফে জানানো হয়,২৬/১১ মুম্বই হামলার আগে হেডলি যখন ভারতে আসেন, তখন তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় রাজারামের। হেডলি আমেরিকার শিকাগো আদালতে জানিয়েছিলেন, মুম্বইয়ে শিবসেনার দপ্তরে গিয়ে তিনি রাজারামের সঙ্গে দেখা করেছেন। শিবসেনার জনসংযোগ সংক্রান্ত কাজকর্মের দায়িত্বে সে রয়েছে বলে হেডলিকে জানিয়েছিল রাজারাম। শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত প্রথমে দাবি করেন, এই নামে তাদের কোনও কর্মী নেই। পরে অবশ্য স্বীকার করেন, রাজারাম শিবসেনাতেই ছিল। পরে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে শিবসেনা। হেডলির সহযোগী সঙ্গী রাজারাম পরে মুম্বই হামলা মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে যায়। সেই রাজারামই কলকাতা এসেছিল বলে দাবি করেছে লালবাজার।
সোমবার লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠক করে অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার মুরলীধর শর্মা বলেন, অভিযুক্ত ১৮ এপ্রিল কলকাতায় এসে এসএন ব্যানার্জি রোডের একটি হোটেলে ওঠে। সেখানে ২০ তারিখ পর্যন্ত ছিল। এর মাঝে সে অভিষেকের বাড়ি ও অফিসে গিয়ে রেকি চালায়। সেখানে ভিডিও তোলে। যা ধরা পড়েছে পুলিসের সিসি ক্যামেরায়। এরপর এক রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম নিয়ে ফোন করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের পিএ’কে। অভিষেকের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চান। এরপরই অভিযোগ করা হয় শেক্সপিয়র সরণি থানায়। তার ভিত্তিতে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়, তদন্ত শুরু করে এসটিএফ।
স্পেশাল টাস্ক ফোর্স তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। যে নম্বর থেকে ফোন করা হয় অভিষেকের পিএ’কে তার সূত্র ধরে জানা যায়, সেটি মুম্বইয়ের নম্বর। তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন, মুম্বইয়ের কেউ কলকাতায় এসে থাকছে। ফোনের সূত্র ধরে সংশ্লিষ্ট হোটেলে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই ব্যক্তির নাম রাজারাম রেগে। ছবি মিলিয়ে অফিসাররা নিশ্চিত হন, এই ব্যক্তিই লস্কর জঙ্গি হেডলির সহযোগী। ফোনের সূত্র ধরে জানা যায়, রাজারাম মুম্বইতেই রয়েছে। তার মোবাইল থেকে কলকাতার চার-পাঁচজনের ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে। এরা তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। রাজারাম কলকাতায় আসার পর তারা দেখাও করেছে। এসটিএফের ব্যাখ্যা, ২৬/১১ পর্বে শিবসেনা অফিসে নাশকতার ছক বাস্তবায়িত করতে জন্য যে কৌশল নেওয়া হয়েছিল, এখানেও একই স্ট্র্যাটেজি ছিল। দুই ঘটনার মিল থাকায়, বিষয়টি ভাবাচ্ছে কর্তাদের। এই ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।