ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের অভিযোগ, কেন্দ্র চূড়ান্ত অনিয়মিতভাবে বাংলায় পাঠাচ্ছে সাধারণ টিবিরোগীদের ওষুধ। ফলে সাধারণ যক্ষ্মারোগীরা ক্রমেই ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট যক্ষ্ণারোগীতে পরিণত হবেন। শুধু তাই নয়, এরকম চলতে থাকলে বছরে গড়ে একজন টিবি রোগী আশপাশের ৮ থেকে ১০ জন মানুষকে সংক্রামিত করবেন। হু হু করে বাড়বে রোগ। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছে, আর মাত্র ১ বছর, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে করতে হবে যক্ষ্মামুক্ত। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একথা বলেছেন। অথচ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকই জীবনদায়ী ওষুধ সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে পারছে না।
এই পরিস্থিতিতে উপায়? স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আশু বিপদ ঠেকাতে রাজ্য স্থানীয়ভাবে ওষুধ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তাতে বিপদ খুব একটা কমেনি। মূলত যে বহুজাতিক সংস্থা বেশিরভাগ যক্ষ্মার ওষুধ নির্মাতা, জেলায় জেলায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা তার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওষুধ পাঠাতেও বলেছেন। কিন্তু বহুক্ষেত্রেই তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, যা চাহিদা, তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন। বিপাকে পড়ে এখন জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরগুলি ওষুধের দোকান থেকে টিবির ওষুধ কেনা শুরু করেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গি বলেন, যক্ষ্মার ওষুধ সরবরাহ নিয়ে বেশ সমস্যা আছে। পরিস্থিতি সামলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছি। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সেন্ট্রাল টিবি ডিভিশন অনিয়মিতভাবে ওষুধ পাঠানোয় এই সমস্যা হচ্ছে। তাই আমরাই ওষুধ কিনে রোগীদের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত সমস্যা মিটবে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন ড্রাগ সেনসেটিভ যক্ষ্মারোগীদের ছ’মাসের ওষুধ খেতে হয়। ওষুধ চারটি। সেগুলি হল আইসোনাজাইড, রিফমপিসিন, ইথামবুটল এবং প্যারাজিনামাইট। এর মধ্যে প্রথম দু’মাসের ‘অ্যাকিউট স্টেজে’ দেওয়া হয় প্যারাজিনামাইট বাদে তিনটি ওষুধের ফিক্সজড ডোজ কম্বিনেশন। তৃতীয় মাস থেকে পরের আরও চার মাস রোগীরা পান প্যারাজিনামাইট সহ চারটি ওষুধের ফিক্সজড ডোজ কম্বিনেশন। এই চারটি ওষুধের সবক’টির এখন চরম আকাল। সমস্যায় জেরবার স্বাস্থ্যদপ্তর।