বিএনএ, বারাসত: বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নুসরত জাহানকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিপূর্ণ পোষ্ট করার অভিযোগে বাদুড়িয়া থেকে এক বিজেপি নেতাকে এবং গাইঘাটা থেকে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। এতে নির্বাচনের মুখে অস্বস্তিতে পড়তে হয়ে গেরুয়া নেতৃত্বকে। তাই ভবিষ্যতে যাতে কোনও কর্মী প্ররোচনামূলক, কুরুচিকর, ধর্মীয় বা বিভ্রান্তমূলক পোস্ট না করেন, সেই ব্যাপারে দলীয় কর্মীদের সতর্ক করল বিজেপি নেতৃত্ব। ‘বিশেষ সতর্ক বার্তা’ লিখে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার আইটি সেলের পক্ষ থেকে তা প্রচার করা হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপ করে সকলকে ওই বিশেষ সতর্ক বার্তা পাঠানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নুসরত জাহানকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিপূর্ণ পোষ্ট করার অভিযোগে শুক্রবার রাতে বাদুড়িয়া থানার পুলিস শুভেন্দু চক্রবর্তী নামে এক বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার আইটি সেলের কনভেনার পদে রয়েছেন। বিজেপির দাবি, তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে একটি পোস্ট এসেছিল। তিনি সেটি ফরওয়ার্ড করেছিলেন মাত্র। শুক্রবার রাতেই পৃথক অভিযোগের ভিত্তিতে গাইঘাটা থানার পুলিস তন্ময় বালা নামে আরও একজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তন্ময় ফেসবুকে নুরসতের কিছু আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে আপত্তিকর কমেন্টও লিখেছিল বলে অভিযোগ।
ভোটের মুখে দু’জন গ্রেপ্তার হতেই বিজেপি নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তারপরই সকলকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বিশেষ সতর্ক বার্তায় লেখা হচ্ছে, ‘সকল বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের অনুরোধ করা হচ্ছে, দয়া করে কোনওপ্রকার প্ররোচনা, কুরুচিকর, ধর্মীয় বা বিভ্রান্তমূলক পোস্ট থেকে বিরত থাকুন। নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে কোন পোস্ট করলে, সত্যতা বিচার না করে পোস্ট করবেন না। নির্বাচন বিধি লাগু হয়েছে, আপনি নিজেও তার আওতায় পড়ছেন। আপনার করা ভুল পোস্ট, আপনাকে বিপদে ও বাংলার শাসক দলকে সুবিধা করে দিতে পারে। তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেদের মতামত জানানোর আগে ভাবনাচিন্তা করুন, প্রয়োজনে উচ্চ নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ করে পোস্টটি করুন’।
বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বিপ্লব হালদার বলেন, না বুঝেই আমাদের দু’জন দু’টি বিতর্কিত পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। তাই তাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন। ওই ভুল যাতে আর কোনও কর্মী না করেন, সে ব্যাপারে সচেতন করতেই আমরা শনিবার থেকে ওই বিশেষ সতর্ক বার্তা সকলকে পাঠাচ্ছি।