ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
রাজ্যে তৃণমূল সরকার ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে। উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে মহিলাদের আর্থিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পের সফলতা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছে। মেয়েদের উচ্চশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের দরজা আরও বিস্তৃত হয়েছে। রূপশ্রী প্রকল্পের হাত ধরে বাল্যবিবাহের হার কমতে শুরু করছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মহিলাদের আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। পারিবারিক ক্ষেত্রে মহিলাদের অবস্থান শক্তপোক্ত করছে। মহিলাদের ক্ষমতায়নের এই চিত্র আরামবাগজুড়েও দেখা যাচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনে যা তৃণমূলের কাছে তুরুপের তাস হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই সব প্রকল্পের সুবিধার্থে মহিলা ভোটের আস্থা অনেকখানি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল। সেই ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের দিকে টানতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। এক্ষেত্রে তাদের অস্ত্র সন্দেশখালি ইস্যু। সেখানকার মহিলাদের নিয়ে এসে প্রচারের কৌশল নিয়েছে বিজেপি। এনিয়ে তৃণমূল প্রার্থী মিতালিদেবী বলেন, সন্দেশখালির মহিলাদের প্রচারের সামনে এনে আরামবাগের মহিলাদের কাছে টানার যে কৌশল বিজেপি নিয়েছে, তা কার্যকর হবে না। আরামবাগে চারজন বিজেপি বিধায়ক আছেন। তাঁরা বলুন জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর নিজ বিধানসভা এলাকার মহিলাদের উন্নয়নয়নের স্বার্থে কতবার বক্তব্য রেখেছেন। বিধায়ক তহবিলের টাকা কতজন মহিলার আর্থিক উন্নয়নের চেষ্টায় ব্যয় করেছেন। তার খতিয়ান তাঁরা তুলে ধরুক। তৃণমূল সরকার মহিলাদের সার্বিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। ভোটের মুখে সন্দেশখালি স্কোয়ার্ডের প্রচার ব্যুমেরাং হবে।
সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, সন্দেশখালি ঘটনার ফায়দা তুলতে বিজেপি বসিরহাট কেন্দ্রে আন্দোলনের মুখ রেখা পাত্রকে প্রার্থী করেছে। যারা জেরে আন্দোলনকারী মহিলারা কার্যত আড়াআড়ি ভাগ হয়ে যান। আন্দোলনকারীদের একটা অংশ রাস্তায় বিক্ষোভ পর্যন্ত দেখান। ভোটের অস্ত্র হাতছাড়া হচ্ছে দেখে বিজেপি হাইকমান্ড তড়িঘড়ি মাঠে নামে। এরপরেই ‘রেখা’ বিরোধী মহিলাদের নিয়ে ‘সন্দেশখালি স্কোয়ার্ড’ গড়ে তোলা হয়।