পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
অভিযোগ, গত মঙ্গলবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে যাচ্ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী শুভ্রাংশু পান্ডা। সেসময় আইনজীবীর পথ আটকান ওই ট্রাফিক সার্জেন্ট। অভিযোগ বিভিন্ন অছিলায় শুভ্রাংশুবাবুর কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেন অভিযুক্ত ওই ট্রাফিক সার্জেন্ট পলাশ হালদার। আইনজীবী টাকা দিতে অস্বীকার করেন। তখন পলাশ তাঁকে ঠায় দাঁড় করিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আইনজীবীর ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করার হুমকি দেন অভিযুক্ত পলাশ।
তখন অভিযুক্ত ট্রাফিক গার্ডকে শুভ্রাংশুবাবু বলেন, এভাবে টাকা নেওয়া যায় না। বিষয়টি আইন বিরুদ্ধে। নিজের বক্তব্যের সপক্ষে ওই ট্রাফিক গার্ডকে হাইকোর্টের একটি পুরনো নির্দেশের কপিও দেখানো হয়। যে নির্দেশে লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি উল্লেখ ছিল। ওই নির্দেশটি দিয়েছিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। বিচারপতি দত্ত বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসাবে কর্মরত।
কিন্তু অভিযোগ, সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করে তখনই নাকি ট্রাফিক সার্জেন্ট পাল্টা দাবি করেন, তিনি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাই তাঁকে আইনের পাঠ শেখানোর দরকার নেই। আইন তিনি ভালো করেই জানেন। বিষয়টি এখানেই থেমে থাকেনি। অভিযোগ দীর্ঘ বচসার পর ওই ট্রাফিক গার্ড আইনজীবীর লাইসেন্স কেড়ে নেন বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, বিচারপতি সমাদ্দার বর্তমানে সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে কর্মরত। বিচারপতি সমাদ্দার এক সময় কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবেও দায়িত্ব সামলেছেন। আইনজীবী শুভ্রাংশু পান্ডার আরও দাবি, এই প্রথম নয়, এর আগেও বিচারপতি সমাদ্দারের নাম করে অন্য এক আইনজীবীর কাছ থেকে ওই পুলিসকর্মী ৫০০ টাকা নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার গোটা ঘটনা শোনার পর রীতিমত বিস্মিত হন বিচারপতি সিনহা। এরপরই ওই ট্রাফিক সার্জেন্টকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি।