একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
ওইদিন দুপুরে মোহন ও তার চার সঙ্গী হাওড়ার ১৪ নম্বর ওয়াটকিন্স লেনের বাসিন্দা বছর পঁয়ষট্টির ব্যবসায়ী গোপালকৃষাণ গুপ্তাকে ব্যবসা সংক্রান্ত কথাবার্তার জন্য পার্ক স্ট্রিটের ওই নামী হোটেলে ডেকে পাঠায়। অভিযোগ, হোটেলের ৩১৫ নম্বর রুমে যাওয়ার পর ওই ব্যবসায়ীর হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে ছুরি দেখিয়ে দু’ কোটি টাকা তোলা চাওয়া হয়। ওই টাকা না পেলে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
দুপুর আড়াইটে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ নিয়ে টানাপোড়েন চলার পর টাকা না পাওয়ায় ওই ব্যবসায়ীকে দিয়ে জোর করে বেশ কয়েকটি চুক্তিপত্রে সই করিয়ে নেয় মোহন ও তার দলবল। এরমধ্যে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিস ওই হোটেলে হানা দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আটকে থাকা ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে।
এরপর ব্যবসায়ীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিস বেআইনিভাবে আটকে রাখা, প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে তোলাবাজি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে। লালবাজার সূত্রে খবর, দু’পক্ষের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এই ঘটনায় এখনও চার অভিযুক্ত পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। এদিকে, মোহন গাড়েয়ালকে শুক্রবার দুপুরে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ৪ মে পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।